গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না প্রার্থীরা
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীরা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।
মঙ্গলবার মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম ও সাঈদ খোকন মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিক তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিদের উদ্দেশে বলবো- আপনারা প্রার্থীদের কোন অনুষ্ঠানে ডাকবেন না। প্রার্থীরাও ‘গুরুত্বপূর্ণদের’ আমন্ত্রণ করবেন না। তাদের কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। তা হলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধান হুইপ, হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে বুঝানো হয়।
আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রার্থীকে কোন সভায় পরিচয় করিয়ে দেয়া ছাড়াও কোন প্রকার সমর্থন দিতে পারেন না। অথবা ভোটাররা প্রভাবিত হয় এমন কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে পারেন না।
মিহির সারওয়ার মোর্শেদ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীদের উদ্দেশে আরো বলেন, আপনারা আচরণবিধি মেনে চলুন। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখুন। আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনের প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না।
ইতোমধ্যে ২৬ জন কাউন্সিলকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শোকজ করা হয়েছে উলেখ করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে অনেকে ক্ষমাও চেয়েছেন। তাদের ফাইল খোলাই রয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী হাজী সেলিমের বিরুদ্ধেও ৪টি অভিযোগ রয়েছে। সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে তাকেও প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের ওপর কমিশনের দৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা সতর্ক হন, এমন কিছু করবেন না যাতে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়।
এ সময় তিনি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগের পরামর্শ দেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা সিটির উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে।
আরএস/আরআই