ব্রেক্সিটে লাগবে সংসদের অনুমতি : ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট


প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বেরিয়ে আসতে হলে সংসদের অনুমতি নিতে হবে দেশটির সরকারকে। মঙ্গলবার ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

কোর্টের এ রায়ে বিপাকে পড়তে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। কেননা দেশটির সংসদে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে অনেক সাংসদের আগ্রহ রয়েছে। তবে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ।

ব্রেক্সিটপন্থী না হয়েও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন থেরেসা মে। সেই উদ্যোগেও ধাক্কা লাগতে পারে।

লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে থেরেসা মে বিচ্ছেদ চেয়ে গত বছরের মার্চে আলোচনা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২৩ জুন ঐতিহাসিক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল ব্রিটেনের মানুষ।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড নিউ বার্গার রায় ঘোষণা করে জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই গণভোটের তাৎপর্য রয়েছে। কিন্তু সংসদের যে আইন বলে ব্রিটেন ইইউ’র সদস্য হয়েছে, তার কোনো পরিবর্তন করতে হলে সংসদের অনুমোদন লাগবে। তবেই তা ব্রিটেনের সংবিধান বলে বৈধ হবে।’

সংবিধানকে পাশ কেটে ব্রিটিশ সরকার যেভাবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল তাকে কটাক্ষ করে আদালত বলেছেন, ‘এই পদ্ধতি না মেনে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা একটি প্রথার ভঙ্গের সামিল।’

ব্রিটেনের সুপ্রাচীন সংসদীয় ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত অমীমাংসিত রয়েছে কোনো বিবদমান প্রশ্নে শেষ কথা কে বলবে? প্রধানমন্ত্রী, তার মন্ত্রিসভা নাকি সংসদ?

এর আগে, গিনা মিলার নামের এক ব্যক্তি ব্রেক্সিটের জন্য সংসদের অনুমতি নেয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সরকারের যুক্তি ছিল সংসদের অনুমতি ব্যতিতই তারা ব্রেক্সিটের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সর্বোচ্চ আদালত এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।