যুক্তরাষ্ট্রে অভয় দিয়ে মুসলিম পরিবারের কাছে প্রতিবেশির চিঠি


প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারসহ অন্যান্য মাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়েছে একটি চিঠি। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটিতে একটি মুসলিম পরিবার প্রতিবেশির কাছে থেকে ওই হৃদয়গ্রাহী চিঠিটি পেয়েছেন।

কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই বসবাসে সমর্থন জানিয়ে চিঠিটি দেয়া হয়েছে ওহাইওর ওই মুসলিম পরিবারকে। সিনসিনাটিতে প্রায় চার দশক ধরে বসবাসকারী আবু বকর আমরি বলেছেন, প্রতিবেশিদের সঙ্গে তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। কেউ তার চাচার বাড়িতে চিঠিটি দিয়ে গেছেন; যা তার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে।

৭০ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন; ওই দিন আমরির এক প্রতিবেশি একটি চিঠি রেখে যান তাদের বাড়ির ডাকবক্সে।

কী ছিল চিঠিতে?

প্রিয় প্রতিবেশি, আজ আমাদের দেশে নতুন একটি অধ্যায়ের শুরু হলো। যা কিছু ঘটুক না কেন, এটা কোনো ব্যাপার নয়। দয়া করে জেনে রাখুন, এখনো অনেক মানুষ আছে যারা তোমাদের ধর্মের অনুশীলন ও বৈষম্যহীনভাবে বাঁচার অধিকারের জন্য লড়বে। আমাদের প্রতিবেশি হিসেবে তোমাকে স্বাগতম এবং তোমার যদি কোনো কিছুর দরকার হয়- দয়া করে আমাদের দরজায় কড়া নাড়বে।

আমরি বলেছেন, আমার মেয়ে, সে অন্য কোনো জায়গা ও মার্কিন মুসলিমদের চিনে না। সে বলেছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে সে খুবই চিন্তিত। আমরা জানি না তিনি (প্রেসিডেন্ট) শুধুই বলেছেন ... অথবা তা সত্য হবে।

আমরি বলেন, এটি অনেক বড় পাওয়া। যখন চিঠিটি পেয়েছি তখন আমার কী ধরনের অনুভূতি হয়েছিল তা কোনোভাবেই প্রকাশ করতে পারবো না। তিনি বলেন, এই উদার কাজ তার মানসিকতায় প্রচুর পরিবর্তন এনেছে।

ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চিঠি
letter

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ওই চিঠির একটি ছবি টুইট করেছিলেন আমরি। মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরি টুইটে বলেছেন, ট্রাম্পের অভিষেকের পর প্রতিবেশিরা সিনসিনাটিতে আমার চাচার বাসায় চিঠিটি দিয়ে গেছে।   

টুইটে আমরি লিখেছেন, ‘এটি হচ্ছে আমেরিকার অপর একটি দিক। এটাই সর্বোত্তম, সর্বোত্তম, সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা।’

সূত্র : জি নিউজ।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।