বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ চীন
চীনের তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্র আগামি ১০ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার সয়লাব করে ফেলবে; ফলে অস্ত্র বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দেবে এবং আমেরিকার পক্ষে অন্য দেশে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করা কষ্টকর হয়ে উঠবে। মার্কিন সাময়িকী ফরেন পলিসি বা এফপি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। ‘চায়না’স উইপন্স অব মাস কনজামশন’ নামের একটি নিবন্ধে বিশ্বের অস্ত্র বাজারে বেইজিং’এর ক্রমবর্ধমান ভূমিকার বিশ্লেষণ করেছে এফপি।
ক্ষুদ্র অস্ত্র থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র নির্মাণের দিকে চীনের এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে ২০১১ সালে। সে বছর দেশটি মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কাছে ড্রোন বিক্রি করেছে। এ ছাড়া, ২০১২ সালে আলজির্য়াসে তিনটি ফ্রিগেট সরবরাহ করে চীন। এর এক বছর পরে আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে তুরস্ক চীনের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে। তুরস্কের এ পদক্ষেপে হতচকিত হয়ে যায় বিশ্বের প্রধান অস্ত্র রফতানিকারক দেশগুলো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে ওঠে-পড়ে লেগেছে চীন। এ লক্ষ্য অর্জনে অস্ত্র নির্মাণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নকল করার কাজে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অস্ত্র গবেষণা ও উন্নয়ন খাতেও করেছে ব্যাপক বিনিয়োগ।
এরই মধ্যে ব্যাপক এ বিনিয়োগের সুফল ঘরে তুলতে শুরু করেছে চীন। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মধ্য মার্চের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমেরিকা ও রাশিয়ার পর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে চীন। প্রতিদ্বন্দ্বী রফতানিকারক দেশগুলোর তুলনায় চীনের অস্ত্র সস্তা। তবে এ সব অস্ত্র আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো উন্নত মানের না হলেও তা ভাল । এসব কথাও বলা হয়েছে পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদনে।
চীনের তৈরি নিত্য ব্যবহার্য ইলেক্ট্রনিকের ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটেছে আগামি বছরগুলোতে তেমনটি অত্যাধুনিক অস্ত্রের বেলায়ও ঘটবে। অর্থাৎ দাম অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে আর বাড়তে থাকবে মান। এফপি’র বিশেষজ্ঞ জোসেফ ই লিন এ কথা বলেছেন।
এআরএস/আরআইপি