আলীম দার বাদ সেমিফাইনাল থেকে
বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালটি এ পর্যন্ত ২০১৫ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বিতর্কিত ম্যাচ হয়ে রইলো। আর এ ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিটির নাম আম্পায়ার আলীম দার।
পাকিস্তানি এই আম্পায়ারই ইনিংসের ৪০তম ওভারে রুবেলের বলে একটি ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্ত দেন। নিশ্চিত আউট হয়েও বেঁচে যান রোহিত শর্মা। তখন রোহিতের সংগ্রহ ছিল ৯০ রান। রুবেলের ফুলটস বলে ডিপ মিড উইকেটে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। কিন্তু হাইটের কারণে তা নো বল ঘোষণা করেন আলিম দার। তার সিদ্ধান্তে সায় দেন ইংল্যান্ডের আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডও। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি মোটেই নো ছিল না। এমনকি কোমরের থেকেও নিচে ছিল। আম্পায়ারের কল্যাণে নতুন জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি করেন রোহিত।
পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয় গণমাধ্যম, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক। খোদ আলীম দারের দেশের তারকা ক্রিকেটারদেরও তোপের মুখে পড়তে হয় এই আম্পায়রকে।
এসবকিছু মাথায় রেখেই বোধহয় আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলীম দারকে সেমিফাইনালের ম্যাচে আর রাখা হবে না।
তবে আরেক বিতর্কিত আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড সেমিফাইনালে ঠিকই থাকছেন।
মঙ্গলবার চলতি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে অকল্যান্ডে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচে দায়িত্বে থাকছেন ডেভিড বুন (ম্যাচ রেফারি), ইয়ান গোল্ড ও রোড টাকার (অন-ফিল্ড আম্পায়ার), নাইজেল লং ( থার্ড আম্পায়ার) ও ব্রুস অক্সেফোর্ড (চতুর্থ আম্পায়ার)।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে ভারত। আর সেই ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি হিসাবে থাকছেন দুই লঙ্কান। রঞ্জন মাদুগালে থাকছেন ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে। অন্যদিকে অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের মধ্যে থাকছেন কুমার ধর্মসেনা ও রিচার্ড কেটেলবোরো। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে মারাইস ইরাসমাস ও চতুর্থ আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
এসআরজে