রোহিঙ্গা ইস্যুতে কুয়ালালামপুরে মুসলিম দেশগুলোর বৈঠক


প্রকাশিত: ০৭:৪৩ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির এক বিশেষ বৈঠক ডেকেছে মালয়েশিয়া। খবর বিবিসির।

এই বৈঠককে ঘিরে রোহিঙ্গা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘ কমিশন গঠন করে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এজন্য ওআইসির দেশগলোর সহায়তা চেয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন।

বৈঠকের আগের দিন বুধবার রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের সহিংসতা এবং কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডার মতো গণহত্যা রোধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ওআইসির মিয়ানমার বিষয়ক দূত এবং মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের ঘটনায় বহু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করায় প্রতিবেশী দেশটিও বেশ সংকটে পড়েছে। এই সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশও নিজেদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরতে চায়। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

ব্রিটেনে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতা আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গনাইজেশনের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বিবিসিকে জানিয়েছেন, যখন তারা একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তখন আমরা আশা করছি ইতিবাচক কোনো সমাধান আসবে। আমাদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। এর একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। আমরা চাই জাতিসংঘের কমিশন গঠন করে তদন্ত করা হোক।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা চান বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের একটি অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে ওআইসি সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা দেবে। এরপর বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে চাই। বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারাও ফিরে যেতে চায়। মিয়ানমারে পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় তারা সেখান থেকে পালাচ্ছে।’ মংড়ুতে নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।