সিটি নির্বাচন : ৭০ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ


প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৫

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ৭০ জন সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬৬ জন রয়েছেন।

ডিসিসি উত্তর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে এ পর্যন্ত মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৫ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ও কাজী শহিদুল্লাহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর পক্ষে তার পিতা সাবেক বিএনপি নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী শনিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

ডিসিসি দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, শনিবার বিকেল পর্যন্ত এই সিটিতে মেয়র পদে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে আগাম প্রচারণা বন্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এরপরও কারো বিরুদ্ধে প্রচারণার অভিযোগ এলে ইসি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন  নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।

নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও কমিশনের রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিসিসি দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার-লিফলেট ও দেয়াল লিখন পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ছবি তুলে রাখা হবে। আগাম প্রচারণাকারী প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে প্রচার সামগ্রী অপসারণে অভিযান শুরু করা হবে।

উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, আইন সবার জন্যই সমান। আগাম প্রচারণাকারীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ৪৮ ঘন্টা সময় শেষ হওয়ায় এখন যাদের পোস্টার-ব্যানার পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশকেও এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ভোট গ্রহণের ২১ দিন পূর্বে অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের আগে কোন প্রচারণা চালানো যাবে না বলেও জানান তিনি।

তবে নির্বাচন কমিশনের বেধেঁ দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় পার হলে গেলেও রাজধানীর বিভিন্ন দেয়ালে নির্বাচনী প্রচারণামূলক বিভিন্ন পোস্টার এখনো দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী- ডিসিসি উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর পদে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল, ১ ও ২ এপ্রিল বাছাই এবং ৯ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে। ভোটগ্রহণ হবে ২৮ এপ্রিল।

আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।