সেমির পথে অস্ট্রেলিয়া
সেমিতে উঠতে ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অ্যাডিলেডে স্মিথ-ওয়াটসনের ব্যাট ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। স্মিথের ব্যাট থেকে ৬৯ বলে ৬৫ রান এলে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় অস্টেলিয়া। ৬৫ রানে স্মিথ সাজ ঘরে ফিরলে ওয়াটসনের সঙ্গে জুটি বাধে ম্যাক্সওয়েল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৭ রান।
পাকিস্তানরে পক্ষে ডেভিড ওয়ার্নার এবং মাইকেল ক্লার্ককে ফিরিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। অ্যারন ফিঞ্চকে শুরুতেই ফিরিয়েছেন সোহাইল খান।
এর আগে পাকিস্তানকে ২১৩ রানে আটকে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
পঞ্চাশ ওভারের আগে পাকিস্তানকে অলআউট করে দেওয়ার কৃতিত্ব অসি পেস আক্রমণের। চার পেসার মিলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। জশ হ্যাজেলউডের শিকার সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুতেই হারিয়ে ফেলে দুই ওপোনারকে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সরফরাজ মিচেল স্টার্কের বলে ক্যাচ দেন দ্বিতীয় স্লিপে। দলীয় ২৪ রানের মাথায় জশ হ্যাজেলউডের বলে প্রায় একইভাবে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আহমেদ শেহজাদ।
তৃতীয় উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রানের জুটি গড়েন হারিস সোহাইল-মিসবাহ উল হক। তবে চারের নিচে থাকা রানরেটকে বাড়াতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন মিসবাহ। ৫৯ বলে খেলা ৩৪ রানের রানের দুটি ছয়ের পর আরেকটি খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন অ্যারন ফিঞ্চের হাতে।
৯৭ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর ফের ছন্দ হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ১২৪ রান তুলতেই মিসবাহ`র পথ ধরে সাজঘরে ফেরেন উমর আকমল, হারিস সোহাইল। হারিসের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান।
১২৪ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর শোয়েব মাকসুদকে নিয়ে দেড়শ পার করেন শহিদ আফ্রিদি। ক্যারিয়ার সায়াহ্নের ম্যাচে `বুম বুম` ১৫ বলে ৩ চার ১ ছয়ে করেন ২৩ রান। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনাল খেলবে ভারতের বিপক্ষে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের স্কোর দুইশ ছাড়ায় শোয়েব মাকসুদের ২৯, ওয়াহাব রিয়াজের ১৬ আর এহসান আদিলের ১৫ রানে ভর করে।
এএইচ/পিআর