কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা করবে ডেনমার্ক
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে একটি চুক্তি করেছে ডেনমার্ক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডেনিশ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী মগেন্স জেনসেন ও বাংলাশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী উপস্থিতি ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ি, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে ডেনিশ কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ডেনিশ কর্মস্থল পরিবেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সম্মেলনে দুটি প্রধান বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রথমত, মাল্টি-স্টেকহোল্ডার সহযোগিতার ভিত্তিতে তৈরি পোশাক শিল্পের গত দুই বছরের প্রাপ্তি ও শিক্ষণীয় বিষয়ের ওপর আলোচনা। একই সঙ্গে এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রফতানি বাজারকে সমৃদ্ধ করা। আলোচনায় বাংলাদেশের অন্য শিল্পের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া হয়।
সম্মেলনে ডেনিশ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী মগেন্স জেনসেন বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনাকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরএমজি সেক্টরের সমন্বয়ে নতুন মান নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থাপনা প্রণয়ন হয়েছে এবং পারস্পরিক সমঝোতার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। যা বিশ্বের কোথাও আগে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় বলা যায়, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই ভবিষ্যতের রূপরেখা বাস্তবায়ন করছে।
ডেনমার্ক দূতাবাস এবং ডেনিশ বাণিজ্য ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশি-বিদেশি ২‘শ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী মোহাম্মাদ মুজিবুল হক।
এর আগে বুধবার, ডেনিশ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী মগেন্স জেনসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ডেনিশ সরকার আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা টাকা আর্থিক সহায়তা দিবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ডেনিশ প্রতিনিধিদল তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন।
এসআই/এএইচ/আরআই