ঢাকায় সফর করলেন মিয়ানমারের বিশেষ দূত


প্রকাশিত: ০৬:১২ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৭

মিয়ানমারের বিশেষ দূত ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউ টিন ঢাকায় দু’দিনের সফর করেছেন। এই সফরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা এবং নানা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলির বিশদ আলোচনা হয়েছে। খবর বিবিসির।

বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে বাংলাদেশকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত সামলাতে হচ্ছে। গত কয়েক মাসে সেই সঙ্কট আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

এই পটভূমিতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক পথে সঙ্কটের সমাধান সম্ভব কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক হুমায়ুন কবীর বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সমস্যাটা সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক ভাবে উদ্যোগ বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কুয়ালালামপুরে আসিয়ান এবং ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এর প্রেক্ষাপটেই মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসেছেন।

এটা মিয়ানমারের ভেতরকার সমস্যা কাজেই মিয়ানমারকেই এর নিষ্পত্তি করতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্য সুদৃঢ়ভাবে বলতে হবে।

কবীর বলেন, ‘যদি দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান হয়ে যায় সেটাই আমরা খুঁজবো। কারণ মিয়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও লেনদেন রয়েছে এবং থাকবে। তবে মিয়ানমারের সঙ্গে বিগত দিনের অভিজ্ঞতার কারণে প্রয়োজনে আমাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পথ খুঁজে বের করতে হবে।’

এই আলোচনায় কতটা আশাবাদী হওয়া যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মোটামুটি আশাবাদী। তবে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। এর আগেও আলোচনা হয়েছে কিন্তু পুরনো সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।’

যদি এই সমস্যার নিষ্পত্তি না হয় তবে সেটা কোনো দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হিসেবে থেকে যেতে পারে এই রোহিঙ্গা সমস্যা। এমনটাই মন্তব্য করলেন সাবেক এই কূটনীতিক।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।