ভারত-বাংলাদেশ স্নায়ুযুদ্ধ!
এ যেন রণপ্রস্তুতি। প্রতিবেশী দেশটির সাথে সুদূর অষ্ট্রেলিয়ার মাঠে দেখা হবে। তাতে কী? এটি যে রয়্যাল কাপের খেলা। ক্রিকেটের গৌরবময় আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল বাংলাদেশের জন্যে স্বপ্ন পূরণের। অন্যদিকে ভারত আছে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। পরপর দু’টি বড় আসরে বাংলাদেশের কাছে হারের প্রতিশোধে তারা উন্মত্ত। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর ২০১২ সালের এশিয়া কাপের হারের ক্ষত এখনো দগদগে ভারতীয়দের মনে। কতটা ক্ষেপে আছে ভারতীয় সমর্থককুল তা বোঝা যায় সর্বশেষ তাদের বানানো বিতর্কিত ভিডিওটি দেখে।
১৯ মার্চের কোয়ার্টার ফাইনালকে ঘিরে “মওকা মওকা” নামে একটি ভিডিও বানিয়েছে ভারতীয় পেপসি কোম্পানি। সেখানে দেখা যায় একজন ভারতীয় বাংলাদেশি সমর্থককে বলছে ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে। পরে বাংলাদেশি সমর্থক তার পায়ে ফুল দিয়ে বিদায় নেয়।
বিতর্কিত ভিডিও টি প্রচারের পর ক্ষেপে উঠেছে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সমর্থক গোষ্ঠী। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, সর্বত্রই চলছে সমালোচনার ঝড়।
সাইমুম সা’দ নামের একজন ফেসবুকার তার ওয়ালে পোস্ট করেছেন, বাংলাদেশের জার্সি পরা ছেলেটা কিন্তু বাংলাদেশি নয়, সাচ্চা ভারতীয়। বাংলাদেশ ভারতের পায়ে ফুল দেয়নি, বরং ভারতই তাদের পায়ে ফুল দিয়েছে। নিজের পায়ে নিজের ফুল দেয়ার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই, বরং লজ্জা আছে। কিন্তু, লজ্জা লাগার মতো নূন্যতম মনুষত্যবোধও ওদের নেই। অন্যকে ছোট করতে গিয়ে নিজেদের মাথা কখন পায়ে ঠেকেছে ওরা ভেবেই দেখেনি”। অনেক ফেসবুকার বাংলাদেশে ভারতীয় সমর্থক দেখলে মারধরের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান বলেন, বাঘের গর্জনে ভারতীয়রা এতটাই দিশেহারা যে কি করবে তারা ভেবেই পাচ্ছেনা। আমরা তাদের মতো অভদ্র আর লুজার না। ১৯ মার্চ দেখা হবে মাঠে। বাঘের গর্জনে উড়িয়ে দিবো সেদিন ভারতকে।
এদিকে ভারতের মওকা মওকার জবাবে আরেকটি ভিডিও বানিয়েছে বাংলাদেশিরা। তাতে দেখা যাচ্ছে একজন ভারতীয় সমর্থক টিভিসেটের সামনে খুব বিরক্তি নিয়ে বসে আছে। ভারত হারলো বাংলাদেশের কাছে। পাঁচবছর পর ওই লোকই খেলা দেখছিল। আবারো হারলো ভারত। তার হাতে থাকা পেপসির বোতল আছড়ে ফেললো সে মেঝেতে। পরে একজন বাংলাদেশি এসে তার হাতে একটি প্যাকেট ধরিয়ে দেয় আর ভালোভাবে কোয়ার্টার ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ জানায়। ভিডিওটিতে লিখে দেয়া হয়, আমরা ভদ্রভাবে আমাদের উপস্থাপন করি। চলো, দেখা হবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
এমএএস/পিআর