নির্বাচনে হ্যাকিং : ট্রাম্পকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন পুতিন
মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই নির্বাচনে হ্যাকিং নিয়ে জোর আলোচনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
‘আনক্লাসিফায়েড’ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে প্রভাববিস্তারে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন রুশ নেতা পুতিন।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মস্কো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আগে থেকেই তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
প্রতিবেদনে বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে জানার পর নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ না এনে বলেছেন, নির্বাচনের ফল প্রভাবিত ছিল না।
২৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিষ্কারভাবে ক্রেমলিন ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছিল।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে গণমানুষের আস্থায় ধস নামানো। এছাড়া হিলারি ক্লিনটনের চরিত্র কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যও ছিল তাদের।
গোয়েন্দা সংস্থাটি উপসংহারে পৌঁছেছে এই বলে যে, ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রভাববিস্তারে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তবে পুতিনের ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি এই প্রতিবেদনে। তবে রাশিয়ার ভূমিকার বিষয়ে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি এবং শীর্ষ কমিটির ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা, উইকিলিকসের মতো কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে হ্যাকিং থেকে প্রাপ্ত তথ্য ফাঁস করা এরপর রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব নিয়ে ‘ট্রল’ করা খারাপ মন্তব্যের ব্যবস্থা করা।
হ্যাকিংয়ের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী রুশ এজেন্টদের নাম যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকলেও সেটি প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দারা শুরু থেকেই বলে আসলেও জয়ের পর থেকেই তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে আসছেন ট্রাম্প।
এনএফ/পিআর