বর্ষবরণে হামলার ঘটনায় তুরস্কের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ


প্রকাশিত: ০৫:৩৮ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৭

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের একটি নাইটক্লাবে বর্ষবরণের দিন হামলার ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। হামলা চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নাইটক্লাবে জড়ো হওয়া মানুষদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

এক বা একাধিক বন্দুকধারী ওই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এখনো পর্যন্ত ওই হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে ধরতেও পারেনি পুলিশ। নববর্ষের প্রথম প্রহরে চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।

গত বছর তুরস্কে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং কুর্দি জঙ্গিদের চালানো অন্তত ছয়টি ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।

২০১৬ সাল তুরস্কের জন্য বেশ ভয়াবহ একটি বছর ছিল। বার বার হামলার ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি কতটা নাজুক অবস্থায় রয়েছে সেটাই প্রমাণ করছে।

তুরস্ক কেন বারবার এ ধরনের হামলার লক্ষ্য হয়ে উঠছে? আঙ্কারার সাংবাদিক সরওয়ার আলম এ বিষয়ে বলেন, তুরস্কের পাশের দু’টি দেশ ইরাক ও সিরিয়াতে কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ চলছে এবং সেখানে যে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গত বছরগুলোতে তুরস্কের অবস্থান ছিল প্রত্যক্ষ। এ কারণেই আইএস তুরস্ককে টার্গেট করছে।

তিনি বলেছেন, ‘কিছুদিন আগেই আইএস যে ভিডিওগুলো প্রকাশ করেছে সেখানে স্পষ্টভাবেই তারা হুমকি দিয়েছে যে, তাদের পরবর্তী টার্গেট হবে তুরস্ক এবং তুরস্কের যে মূল স্থাপনাগুলো আছে সেগুলোকে তারা টার্গেট করবে।’

তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, একটা সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি ব্যাপারটা তেমন না বা একটা গোষ্ঠী যে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে তেমনও না।

সরকারের কথা হলো তারা এক সঙ্গে অনেকগুলো সন্ত্রাসী গ্রুপের মোকাবেলা করছে। দেশের ভেতরের রাজনৈতিক অস্থীতিশীল অবস্থাও এর জন্য দায়ী।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।