সিবিআই হেফাজতে অনেকের নাম বলেছেন তাপস পাল


প্রকাশিত: ০৫:১২ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৭

রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতারের পর তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের সংসদ সদস্য এবং অভিনেতা তাপস পাল। এর আগে সিবিআইয়ের তলবে স্ত্রী ও আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই-এর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন এই সাংসদ।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, টালিউডে গৌতম কুণ্ডুকে এনেছিলেন তাপস পাল। রোজভ্যালি ফিল্ম ডিভিশনের ডিরেক্টর এবং চিটফান্ড ব্যবসায় গৌতমকে সাহায্য করেন তিনি। রোজভ্যালি এন্টারটেইনমেন্ট এবং ফিল্ম ডিভিশনের সঙ্গে স্ত্রী ও তিনি দু’জনই যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রেই বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে।

শনিবার সারা দিনের জেরা পর্বে তাপস পালকে বেশ বিপন্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সিবিআই সূত্র। তদন্তকারীদের দাবি, তাপসের সামনেই একবার তার স্ত্রী নন্দিনীর কাছে তার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার কথা জানতে চাওয়া হয়। নন্দিনী সরাসরি জানিয়েছেন ওই টাকা তার নয়, তাপসেরই। সিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নন্দিনীর মুখে এমন কথা শুনে চমকে ওঠেছেন তাপস। তবে মুখে কিছুই বলেননি তিনি।

সিবিআই কর্মকর্তাদের ক্রমাগত জেরার মুখে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তাপস। এমনকী বেশ কিছু প্রভাবশালীর নামও বলেছেন যারা রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ এবং তাদের জেরা করলে নতুন তথ্য মিলবে। কারণ তারা রোজ ভ্যালির কাছ থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

শুক্রবার কলকাতায় গ্রেফতারের পর রাতের বিমানেই সাংসদ-অভিনেতা তাপস পালকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত দু’টোর দিকে ভুবনেশ্বরের নয়াপল্লিতে সিবিআইয়ের ৮ নম্বর ইউনিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তাপসের স্ত্রী নন্দিনীও তার সঙ্গেই ছিলেন। শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ তাপসকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। তখনও পাশে ছিলেন নন্দিনী। পাঁচ দিনের জন্য তাপসকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক প্রশান্ত মিশ্র।

ভুবনেশ্বর থেকে সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র আদালতে বলেন, সাংসদ নিজের ক্ষমতাবলে রোজ ভ্যালিকে আর্থিক তছরুপে সাহায্য করেছেন এবং ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছেন বলে গোয়েন্দাদের হাতে একাধিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি কিছু বলতে চান কি না এ দিন বিচারক তাপসের কাছে জানতে চাইলে তিনি হাতজোড় করে বলেন, ‘হুজুর, আমি নির্দোষ।’

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।