সু চির সমালোচনায় নোবেল বিজয়ীরা


প্রকাশিত: ১০:০১ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন তেরজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ মোট ২৩ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, ‘বার বার আবেদন জানানোর পরও মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি যেভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন তা সত্যিই হতাশাজনক।’

অং সাং সুচি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী হওয়ায় সাহসিকতা, মানবিকতা এবং সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি মোকাবেলার প্রাথমিক দায়িত্ব তার কাঁধেই ছিল। কিন্তু সে দায়িত্ব তিনি ভালোভাবে পালন করতে পারছেন না।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরদানকারী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনুস, পূর্ব তিমুরের হোসে রামোস হোর্তা, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মেইরিড মগুইয়ের, দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, কোস্টারিকার অস্কার আরিয়াস, যুক্তরাষ্ট্রের জডি উইলিয়ামস, ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান, লাইবেরিয়ার লেমাহ জিবোইয়ি এবং পাকিস্তানের মালালা ইউসুফ জাই।

ঢাকায় মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান ইউনুস সেন্টারের তরফ থেকে বিবৃতিটি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়। এছাড়াও ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোডি, হাফিংটন পোস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক আরিয়ানা হাফিংটন, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এই বিবৃতিতে সাক্ষর করেছেন।

অং সান সু চি নিজেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নিশ্চুপ ভূমিকার কারণে তিনি তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

বিবৃতি দাতারা বলছেন, মিয়ানমারে যা ঘটছে তা জাতিগত নির্মূল অভিযান এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল। সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর জন্য মিয়ানমার সরকারকে সব বিধি-নিষেধ তুলে নিতে বাধ্য করতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে মিয়ানমারে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।