বিশ্বযুদ্ধের বোমা নিষ্ক্রিয় করতে সরানো হচ্ছে ৫০ হাজার বাসিন্দা


প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেলা একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষিণ জার্মানির অসবুর্গ শহর থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে আজ বড়দিন হলেও লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর অবিস্ফোরিত কোনো বোমার কারণে জার্মানিতে এর আগে শহর থেকে এতো লোকজনকে কখনোই সরিয়ে নেয়া হয়নি। ব্রিটিশ এই বোমাটি ১ দশমিক ৮ টনের। ১৯৪৪ সালে বিমান হামলার সময় মিত্র বাহিনী জার্মানিতে এই বোমাটি নিক্ষেপ করেছিল। ওই বিমান হামলায় পুরো শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ভবন নির্মাণের কাজ করার সময় এই বোমাটি পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, তারা নিশ্চিত করে জানে না এই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কত সময় লাগতে পারে।

বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক মাইক স্যান্ডার্স বলছেন, শহর কর্তৃপক্ষ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই তারা সব লোকজনকেই সেখান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। বোমাটি যেখানে পাওয়া গেছে তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বাড়ি ঘর থেকে সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের বাড়িতে অবস্থান করতে পারেন। তবে লোকজনের থাকার প্রয়োজন হলে তাদের জন্যে কয়েকটি স্কুল এবং স্পোর্টস হলও খুলে দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকরা বলছেন, এর কারণে বড়দিনের উৎসব যে পণ্ড হয়ে গেছে তা নয়। কারণ বেশিরভাগ জার্মানই বড়দিনের উপহার খোলা এবং খাওয়া দাওয়া আগের দিন অর্থাৎ ২৪শে ডিসেম্বরেই সেরে ফেলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরো যেসব বোমা সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে

মে ২০১৫ : কোলন শহরে। ২০ হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। বোমাটি ছিল এক টনের।

জানুয়ারি ২০১২: অয়েসকিরশেনে। একজন নির্মাণ শ্রমিক খননকারী যন্ত্র দিয়ে অবিস্ফোরিত বোমায় আঘাত করলে তিনি নিহত হন।

ডিসেম্বর ২০১১: কোবলেনৎস শহরে। ৪৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন রাইন নদীর তলদেশে দুটো বোমা পাওয়া যায়। নিষ্ক্রিয় করতে তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিল।

জুন ২০১০: গোয়েটিংগেন শহরে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের তিনজন সদস্য নিহত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে। বিবিসি বাংলা।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।