মেয়েকে দিয়ে ঋণ শোধ পাকিস্তানে


প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

মাত্র একরাতেই পুরো জীবন উলট-পালট হয়ে গেছে ‘জীবতি’ নামের এক তরুণীর। জোর করে তাকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল এক বৃদ্ধের সঙ্গে। পাকিস্তানের এই তরুণীর ‘অপরাধ’ ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে ১ লক্ষ রূপি ঋণ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া জীবতির আর এক ‘অপরাধ’; বাড়ির মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী তিনিই।

শুধু জীবতি নয়, তার মতো এমন নির্যাতনের শিকার দক্ষিণ পাকিস্তানের অনেক তরুণীই। বাবা ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে বাড়ির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েকে বাধ্য করা হচ্ছে ঋণদাতাকে বিয়ে করার জন্য। জমি বা বাড়ির মতো ঘরের নারীদেরও গণ্য করা হচ্ছে সম্পত্তি হিসাবে।

জীবতির মা আমেরি বলছেন, ‘বাড়ির পুরুষদের সিদ্ধান্ত শেষ কথা। কেন আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়া হবে, তাও আবার এমন একজনের সঙ্গে, যার সঙ্গে আমার মেয়ের বয়সের ব্যবধান অনেক। আমি অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের কাছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমার কথা কর্ণপাত করেনি।’

দেশটির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বলছে, দক্ষিণ পাকিস্তানে এভাবে জোর করে ২ হাজারেরও বেশি মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে দক্ষিণ পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘গ্রিন রুরাল’। সংস্থাটির কর্মী গুলাম হায়দার বলেন, ‘পাকিস্তানের সংবিধান কখনও এ ধরনের জবরদস্তিকে অনুমোদন দেয় না। এটা অসাংবিধানিক এবং বেআইনি।

এসআইএস/জেআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।