নিজ দেশেই সংখ্যালঘু কাতারের নাগরিকরা


প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

জনসংখ্যা বাড়লেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের নাগরিকের সংখ্যা প্রায় স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ। এর মধ্যে অন্য দেশ থেকে এসে সে দেশে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১৮ লাখ। নিজ দেশে কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে দেশটির নাগরিকরা। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের নাগরিকত্ব রয়েছে কাতারে।

ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত ম্যাগাজিন ‘বিকিউ ম্যাগাজিন’ এর সাবেক সম্পাদক প্রিয়া ডি সুজার পরিবার ১৯৫০ সাল থেকে কাতারে বসবাস করে আসছ্নে। প্রিয়া ডি সুজার জন্মও কাতারে। অন্য দেশ থেকে কাতারে এসে পরিবার গড়লেও সেদেশে জন্মগ্রহণকারী প্রবাসী কাউকে নাগরিকত্ব দেয়া হয় না।

ডি সুজা সম্প্রতি চিরদিনের জন্য কাতার ত্যাগ করেছেন। কাতারের জনসংখ্যা ও নাগরিকত্ব নিয়ে তার একটি ওয়েবসাইটে ধারাবাহিক প্রতিবেদন তৈরি করছেন। প্রথম প্রতিবেদনে তিনি প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, কাতারিরা সবসময় কী নিজ দেশে সংখ্যালঘু থাকবেন? ১৯৪০ সাল থেকে কাতারের অভিবাসনের রূপরেখা তুলে ধরেছেন তিনি।

প্রতিবেদনে কাতারের স্থানীয়দের সঙ্গে প্রবাসীদের পরিবর্তনশীল সম্পর্কও তুলে এনেছেন। কাতারে ৭০ বছর ধরে বসবাসরত তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাতারের জনগণের সম্পর্কের কথা বলেছেন ডি সুজা। তিনি লিখেছেন, ৫ যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে বসবাস করলেও নিজের দেশ বলাটা অত্যন্ত কঠিন। কাতারের নিজস্ব পাসপোর্ট পান না তারা।

কয়েক প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করে এলেও কাতারের নাগরিকত্ব পাওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম কাটিয়েও অনেকেও এখন কাতার ত্যাগ করছেন। তবে কাতার ত্যাগের নিশ্চিত কোনো কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি ডি সুজা।

সূত্র : দোহানিউজ।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।