সবাই মিলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা উচিত : মালয়েশিয়া


প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানকে রাখাইনের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া। একই সঙ্গে মিয়ানমারে মুসলমানদের দুর্দশাকে আঞ্চলিক উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে আসিয়ানকে সমন্বয় করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।   

সোমবার ইয়াঙ্গুনে ১০ জাতিগোষ্ঠীর এই জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মালিয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান ওই আহ্বান জানান।

এর আগে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা গণহত্যা, ধর্ষণ ও গণগ্রেফতারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগের পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ইয়াঙ্গুনে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক ডাকেন।

ইয়াঙ্গুনে আসিয়ানের বৈঠকে আনিফাহ আমান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, রাখাইনের পরিস্থিতি একটি আঞ্চলিক উদ্বেগজনক বিষয় এবং সবাই মিলে এর সমাধান করা উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগ আনা হলেও দেশটি বরাবরই তা নাকচ করে দিয়ে আসছে। সু চি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেসব প্রতিবেদন করা হচ্ছে তার অনেকগুলোই মনগড়া এবং এর ফলে রাখাইনে বসবাসকারীদের মধ্যে সহিংসতা আরো বাড়বে; যেখানে অনেক রোহিঙ্গা বসবাস করেন। এটি অভ্যন্তরীন বিষয়।

এদিকে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আঞ্চলিক ও কূটনৈতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার চলতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে একটি মিডিয়া প্রতিনিধিদলকে পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গত অক্টোবরে শুরু হওয়া কঠোর অভিযানের মুখে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ২১ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনের চেষ্টা করছে মিয়ানমার; যা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। দেশটিতে সীমান্তের নিরাপত্তা চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলায় ৯ পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের হাত থেকে রেহােই পাচ্ছে না রোহিঙ্গা শিশুসহ গর্ভবতী নারী ও কিশোরীরাও। এর আগে ২০১২ সালে চরম সহিংসতার শিকার হয়েছিল রোহিঙ্গারা। সেই সময় বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা সহিংসতায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে পড়ে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন অথবা সহিংতায় অংশ নিচ্ছেন।

সূত্র : রয়টার্স, চ্যানেল নিউজ এশিয়া।

এসআইএস/জেআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।