বোলিং দুশ্চিন্তায় ইংল্যান্ড


প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৫

বোলিং আক্রমণে ইংল্যান্ডের বড় দুই ভরসার নাম জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রড। বিশ্বকাপে আসার পর থেকে দুজনই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। তাই সোমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলায় বোলিং নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক।

ইংল্যান্ডের খেলা চারটি ম্যাচেই বল করেন অ্যান্ডারসন আর ব্রড। চার ম্যাচে ২৯ ওভার বল করে ১৮২ রান দিয়ে মাত্র দুটি উইকেট পান অ্যান্ডারসন। ওভার প্রতি ৬.২৭ করে রান দিয়েছেন তিনি।

ব্রডের অবস্থাও তথৈবচ। চার ম্যাচে ২৯.২ ওভার বল করেছেন তিনি। ১৮৪ রান দিয়ে দুটি উইকেটই নিতে পারেন। রান দিয়েছেন অ্যান্ডারসনের মতো তিনিও ওভার প্রতি ৬.২৭ গড়ে রান দেন।

বোলিংয়ে অ্যান্ডারসন আর ব্রডের মূল অস্ত্র সুইং। বিশ্বকাপে আসার আগে এই অস্ত্রই যেন ভুলে ফেলে এসেছেন তারা! কারণ, দুজনের একজনও সে রকম সুইং পাচ্ছেন না।

এই দুজনের ব্যর্থতা নিয়ে মর্গ্যান বলেন, তারা অসাধারণ বোলার কিন্তু ঠিক জায়গায় বল ফেলার কাজটা আমরা একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে করতে পারছি না।

শুধু অ্যান্ডারসন আর ব্রডই নন, ইংল্যান্ডের কোনো বোলারই জায়গায় বল রাখার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারছে না। বিশেষ করে পেসাররা। ইংল্যান্ডের সব পেসাররাই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ওভারপ্রতি ছয়ের ওপরে রান দিয়েছেন।

স্টিভেন ফিন ৪ ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিলেও ওভার প্রতি সবচেয়ে বেশি ৬.৮৯ রান দেন। এরপর ইংল্যান্ডের বেশি খরুচে বোলার অ্যান্ডারসন ও ব্রড। দলের পক্ষে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট পাওয়া ক্রিস ওকস ওভার প্রতি রান দেন ৬.১৪ করে।

ইংল্যান্ডের স্পিনার মইন আলি অবশ্য ওভার প্রতি ৬ রানের নিচে দেন। ২৯ ওভার বল করে ৩ উইকেট নেন তিনি। ওভার প্রতি রান দেন ৫.৪১ করে।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বেশ চিন্তিত মর্গ্যান।

এএইচ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।