নির্বাচনে হস্তক্ষেপ : পুতিনকে আগেই থামতে বলেছিলেন ওবামা


প্রকাশিত: ০৪:০৯ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, নির্বাচনের আগে ইমেইল হ্যাকিংয়ের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল এবং তখনই তিনি পুতিনকে থামতে বলেছিলেন। একই সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান দলকে রাজনীতির আগে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি।


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবেই মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের নির্বাচনী প্রচারণা এবং হিলারির ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিল। ডেমোক্রেটদের দাবি শেষ মুহূর্তে এসে ওই হ্যাকিংয়ের ঘটনাই হিলারির পরাজয়ের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

হ্যাকিংয়ের ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

পুতিন হ্যাকিংয়ের বিষয়ে জানতেন উল্লেখ করে ওবামা বলেন, পুতিনের ধারণার বাইরে এ ঘটনা ঘটেনি। এটা তার নির্দেশেই হয়েছে।

সিআইএ অনেক আগেই দাবি করেছিল, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহায়তা করে হিলারিকে পরাজিত করতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। সিআইএর এমন অভিযোগের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন এএফবিআই প্রধান জেমস কমি এবং ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স এর পরিচালক জেমস ক্লেপার।  

এদিকে, সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে এক ইঙ্গিতে ওবামা বলেন, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ কতটা গুরুতর তা বোঝার ক্ষমতা রাখে না কিছু রিপাবলিকান।

আগে থেকেই মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা থেকে রাশিয়াকে দূরে থাকতে বলেছিলেন ওবামা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এক সম্মেলনে ইমেইল হ্যাকিং নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন ওবামা। সেখানে তিনি পুতিনকে বলেছিলেন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে।

নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সাইবার শক্তি নিয়ে বিষয়টির মোকাবেলা করবে। রাশিয়া আমাদের সঙ্গে যা করেছে আমরাও তাদের সঙ্গে তা করতে পারি।’

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।