রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির সমালোচনায় জাতিসংঘ


প্রকাশিত: ০৩:০৯ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারে অং সাং সুচির নেতৃত্বাধীন সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে যে আচরণ করছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দফতর বলছে, তারা মিয়ানমার থেকে প্রায় প্রতিদিনই হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো ঘটনার খবর পাচ্ছে। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দফতরের প্রধান যাইদ রাদ আল হুসেইন বলেছেন, ‘রাখাইন রাজ্যের সমস্যা মোকাবেলায় মিয়ানমার সরকার যে নীতি নিয়েছে তাতে উল্টো ফল হচ্ছে।’

মিয়ানমার জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদেরকেও রাখাইন রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না। সেখানকার পরিস্থিতির কোন স্পষ্ট চিত্র জাতিসংঘের কাছে নেই। এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপারে সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাই করছে জাতিসংঘ।

যাইদ রাদ জানিয়েছেন, যেভাবে মিয়ানমার গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগকে বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিচ্ছে এবং সেখানে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সেটা ঘটনার শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য খুবই অবমাননাকর। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী সরকারের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার মাধ্যমে সেগুলো তারা এড়িয়ে যাচ্ছে।

যাইদ রাদ আরো বলেন, ‘মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের যদি লুকোনোর কিছু না থাকে তাহলে কেন তারা সেখানে আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না? যেভাবে তারা আমাদের সেখানে ঢুকতে অনুমতি দিতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে তাতে করে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সবচেয়ে খারাপটাই আশঙ্কা করছি আমরা।’

তবে মিয়ানমার সরকার বরাবরই রাখাইন রাজ্যে কোনো ধরণের গণহত্যা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ দমনে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর তথাকথিত ওই অভিযানের মুখে ইতোমধ্যেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এবং অবহেলিত জনগোষ্ঠী বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। সরকার তাদেরকে সেদেশের নাগরিক বলে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। চরম মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে তারা।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।