প্রত্যাশা বাড়ছে মোদী-মমতার বৈঠকে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রত্যাশার পারদও।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হিস্যার পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উভয়ের মধ্যে মতৈক্য হবে বলেই মনে করা হচ্ছে এ বৈঠকে।
আদর্শগত পার্থক্যে ফলে মতবিরোধের কারণে এর আগে মোদি-মমতা বৈঠকে তেমন কোন ফল হয় নি। তবে সোমবারের বৈঠক নিয়ে মমতা নিজেও যথেষ্ট আশাবাদী। এটি অবশ্য গোপন রাখেননি তিনি।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্দরমহলও এ বৈঠক নিয়ে আশাবাদী বলে জানা গেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিভিন্ন সূত্র জানায়, বৈঠকটি খুবই জরুরী ছিল। বৈঠকের মাধ্যমে যদি তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির শীতল সর্ম্পকের অবসান ঘটে তাহলে লোকসভায় বিজেপি অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে।
অপরদিকে, ভারতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষে বিজেপির পক্ষে একা কোনো বিল পাশ করা এখন কার্যত সম্ভব নয়। বিল পাশ করতে গেলেই বিরোধীরা একজোট হয়ে তা আটকে দিচ্ছেন বা সংশোধনী যুক্ত করে দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় তৃণমূলকে প্রয়োজন বিজেপির।
এছাড়া আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিশেষত বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নে সীমান্ত প্রটোকল বিল পাশ করানোসহ তিস্তা পানি বণ্টন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি ঢাকাকে যে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছেন তার জন্যও লোকসভায় তৃণমূলের `সঙ্গ` কাজে আসবে বিজেপির।
সীমান্ত প্রটোকল বিল প্রশ্নে মমতা এরইমধ্যে নিজেই ইতিবাচক অবস্থান জানিয়েছেন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহলবাসীদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিয়েও ছিটমহল বিনিময়ের পক্ষেই `রায়` দিয়েছেন বলা যায়।
সংবর্ধনায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ছিটমহল বিনিময়ে পক্ষে। একথা তার সাম্প্রতিক ঢাকা সফরেও জানিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের সামনেই তিনি তার উপর আস্থা রাখতে বলেছেন। মমতার এই `আস্থা` শব্দের মধ্যেই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারও যথেষ্ট উৎসাহিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই তৃণমূল এমপি ডেরেক ও ব্রায়েনের কাছে এবিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন।
এএইচ/পিআর