ইন্ডিয়া`স ডটার : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই আইন লঙ্ঘন
ভারতের মেডিকেল ছাত্রী নির্ভায়া ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া`স ডটার ইত্যেমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এটি প্রচারে ভারতের আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেদিকে কর্ণপাত করেনি বিবিসি। এর ফলে বিবিসির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবেছ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে ইন্ডিয়া`স ডটার তথ্যচিত্র ধারণের সময় খোদ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আইন লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ।
জানা গেছে, তথ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ব্রিটিশ ফিল্মমেকার লেসলি অডউইন একটি আবেদন পত্র পাঠিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে, যাতে তাঁকে তিহার জেলের ভিতরে গিয়ে ধর্ষকদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই আবেদনে তড়িঘড়ি জবাব দিতে গিয়ে নিজেদের আইনই লঙ্ঘন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে পাশ করা একটি আদেশপত্র অনুযায়ী ভারতীয় কারাগারে কোনও বিদেশীকে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার আগে যে সব বিধিবদ্ধ ছানবিন করা বাধ্যতামূলক তার কোনটিই এক্ষেত্রে করা হয়নি। আর এর ফল হিসেবেই রেকর্ড করা হয়েছিল নির্ভয়া-ধর্ষকের সেই জবানি যা আবারও সারা দেশে তৈরি করেছে চাঞ্চল্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আডউইনের ক্ষেত্রে এই ছানবিন করার কথা ছিল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর। এ ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করতে পারত দিল্লি পুলিশও। কিন্তু এর কোনটিই করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বা তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকি কি শ্যুট করা হচ্ছে তার উপরেও কোনও নজর রাখেনি তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও সন্দেহ উঠেছে আরও একটি বিষয়ে। যখন কোনও কয়েদির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, সে জেলের পোষাকেই থাকে। তবে তথ্যচিত্রে দেখা গেছে নির্ভয়ার ধর্ষকের পরনে ছিল সাধারণ পোষাক। এটি কীভাবে সম্ভব হল, তাও খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এএইচ/পিআর