মহারাষ্ট্রে মুসলিম শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিল


প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৫

মহারাষ্ট্রে শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ (কোটা) বাতিল করেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার। যদিও বম্বে হাইকোর্ট শিক্ষাক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সংরক্ষণের অনুমতি দিয়েছিল আগেই। সেই অনুমতিকে অগ্রাহ্য করে এই সংরক্ষণ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সই খারিজ করেদিয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সরকার।

দেবেন্দ্র ফড়নবীশ অবশ্য আগেই জানিয়ে ছিলেন তার সরকার ধর্মের ভিত্তিতে কোনও রকম সংরক্ষণের বিরোধী। এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স সরিয়ে কোনও আইন আনার কোনও ইঙ্গিত দেননি তিনি।

গত মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের সাধারণ প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে জানানো হয়, ``২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালে এই অর্ডিন্যান্সটি কোনও অ্যাক্টে পরিবর্তিত হয়নি। আমরা অর্ডিন্যান্সটিই তাই বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।``

গত বছর ১১ জুলাই তদানীন্তন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-এনসিপি সরকার, সরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে মারাঠাদের জন্য ১৬% ও মুসলিমদের জন্য ৫% সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি অর্ডিন্যান্স ইস্যু করে।

মুসলিমদের ৫% সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে আগের সরকার `স্পেশাল ব্যাকওয়ার্ড ক্যাটাগরি-এ` নামের একটি নয়া বিভাগ তৈরি করে।

এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গত বছর ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট মারাঠাদের জন্য ১৬% সংরক্ষণের প্রস্তাব খারিজ করলেও মুসলিমদের জন্য ৫% সংরক্ষণে সম্মতি জানায়।

বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ক্ষমতায় এসে ফের মুসলিমদের জন্য এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে। বরং মারাঠাদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করে। এছাড়া ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালে  বিধানসভায় এই অর্ডিন্যান্সকে তামাদি হওয়ার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে।

ফড়নবীশের যুক্তি তারা মুসলিমদের উন্নয়নে সচেষ্ট হলেও এই ধরণের সংরক্ষণের সুবিধা শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। পরে মঙ্গলবারই রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি বৈঠক ডাকেন। তারপরেই মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ অবাক করেছে অনেককেই। বিরোধীরা ফড়নবীশ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে ভণ্ডামি বলেছেন।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আরিফ নসীম খান এই সরকারকে `সাম্প্রদায়িক` অ্যাখা দিয়েছেন।

আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।