আম্বারে সংরক্ষিত ডাইনোসরের লেজের সন্ধান


প্রকাশিত: ০৭:৪৩ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারে পাখাওয়ালা একটি ডাইনোসরের লেজের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেটি একটি আম্বারে সংরক্ষিত রয়েছে। আম্বার হলো বৃক্ষের রজন থেকে তৈরি এক ধরনের জীবাশ্ম। রজন হলো ঈষৎ হলুদ রংয়ের এক ধরনের জটিল বর্জ্য পদার্থ; যেটি জলে অদ্রবণীয়।

এ আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে ১৬০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে রাজত্ব করা প্রাণীটিকে নিয়ে গবেষণায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এখনো ধারণা করা হচ্ছে, লেজটির উপরের অংশ ছিল বাদামী রঙের আর নিচের অংশ সাদা।

জার্নাল কারেন্ট বায়োলজিতে এ লেজের কথা বলা হয়েছে। বিবিসি।

গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক রাইন ম্যাককেলার বিবিসিকে বলেছেন, এই প্রথম ডাইনোসরে শরীরের কোনো কিছু আমরা আম্বারে সংরক্ষিত অবস্থায় পেলাম।

dino

গবেষণার প্রধান লেখক বেইজিংয়ের চায়না ইউনিভার্সিটি অব জিয়োসায়েন্সের লিডা জিং মিয়ানমারের মিতকিনার একটি আম্বার বাজারে এই জীবাশ্মের সন্ধান পান।    

ড. ম্যাককেইলার বলছেন, লেজটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, এটি অবশ্যই পাখাওয়ালা কোনো ডাইনোসরের, কোনোভাবেই প্রাচীন কোনো পাখির নয়।

বিষয়টির ব্যাখ্যায় ম্যাককেইলার আধুনিক পাখি ও তাদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে এই লেজের দৃশ্যমান পার্থক্যের কথা বলেছেন।

লেজের এই অংশটি যখন আম্বার তৈরির প্রক্রিয়াতে বৃক্ষের আঠাল পদার্থটিতে আটকে যায় তখন ডায়নোসরটি জীবিত ছিল বলেও ধারণা তাদের।

মিয়ানমারের কচিন রাজ্যের যেখানে আম্বারটি পাওয়া গেছে গত ২ হাজার বছর ধরে সেখানে আম্বার উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীদের এখানে নজর রয়েছে গেল ২০ বছর ধরে।

ম্যাককেইলার জানিয়েছেন, আম্বারের বড় যে টুকরাগুলো পাওয়া প্রায় সময়ই সেগুলো পাওয়া যায় ভাঙা। আমরা যখন সেগুলো হাতে পায় তা দিয়ে কোনো অলঙ্কার তৈরি হয়ে যায়। তাই নমুনার কতটুকু আমরা হারালাম সেটা বুঝে ওঠা কঠিন।

এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।