মালয়েশিয়ায় কাজ ও শিক্ষার অধিকার চায় রোহিঙ্গারা


প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক মুখ খোলায় সে দেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরা বৈধভাবে কাজ ও শিক্ষার অধিকার পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ থাকলেও সেখানে বৈধভাবে কাজ ও শিক্ষার অনুমতি নেই তাদের।

মিয়ানমারে ২০১২ সালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর ৫৬ হাজার রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরে নিবন্ধনভুক্ত এসব রোহিঙ্গা ছাড়াও আরো ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গাদের সংগঠন রোহিঙ্গা সোসাইটি এ তথ্য জানিয়েছে।

মালয়েশিয়া শরণার্থী এবং উদ্বাস্তুদের স্বীকৃতি দেয় না। দেশটি শরণার্থীদের স্বীকৃতির বিষয়ে ১৯৫১ ও ১৯৬৭ সালের দুটি সনদে স্বাক্ষর করেনি। রোহিঙ্গা সোসাইটি ইন মালয়েশিয়ার সভাপতি ফয়সাল ইসলাম মুহাম্মদ কাশিম চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে বলেছেন, মাসে মাত্র আড়াইশ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে অনেকেই অবৈধ উপায়ে নির্মাণ খাতে কাজ নিচ্ছেন। মালয়েশিয়ায় টিকে থাকতে এই বেতন তাদের জন্য যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের জন্য কিছু করতে পারে...সরকার যদি এখানে রোহিঙ্গাদের বৈধভাবে কাজের সুযোগ দেয়, তাহলে তাদের জন্য এটি খুব ভালো হবে। কাজের অধিকার রোহিঙ্গাদের জন্য একটি বাস্তবতা হতে পারে। রোহিঙ্গাদের কাজের অনুমতি দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

২০১২ সালে রাখাইনের সহিংসতায় মালয়েশিয়ায় যান ফয়সাল। সরকারি স্কুলে শিক্ষার অনুমতি না থাকায় প্রতিবাদ জানান তিনি। ফয়সাল বলেন, তারা এখন এনজিও পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনা করছেন।

এর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিধনের বিরুদ্ধে গত রোববার কুয়ালালামপুরে প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে মিয়ানমারের নেত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির নীরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন নাজিব রাজাক। নাজিব রাজাকের এই প্রতিবাদে নিজেদের অধিকারের বিষয়ে নতুন করে আশা দেখছেন মালয়েশিয়ার রোহিঙ্গারা।

এসআইএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।