অপারেশনের জন্য প্রস্তুত ৫০০ কেজির সেই নারী


প্রকাশিত: ০৭:৪০ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬

শরীরের ওজন কমাতে শিগগিরই ভারতে চিকিৎসকের অস্ত্রের নিচে যাচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মিসরের একজন নারী। ভারতের মুম্বাইয়ের চিকিৎসক মুফাজ্জল লকদাওয়ালা ৫০০ কেজি ওজনের মিসরীয় নারী ইমান আহমেদ আব্দ এল এটির সার্জারি করবেন।

এর আগে ৫০০ কেজি ওজনের ওই মিসরীয় নারী চিকিৎসার জন্য ভারতীয় ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সী ইমান মিসরের বন্দর শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় থাকেন। চিকিৎসার জন্য ভারতে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। কায়রোয় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রথমে ওই নারীকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে।

পরে মুম্বাইয়ের চিকিৎসক মুফাজ্জল লকদাওয়ালার কাছে ভিসা পেতে সহায়তা চান ইমান। ভারতীয় এই চিকিৎসক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে সুষমার হস্তক্ষেপে ভারতীয় ভিসা পান ইমান।

fat

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ হাসপাতালে একটি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করছেন। টুইটারে তিনি দ্রুত ওই নারীকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

ইমান আহমেদের পরিবার বলছে, শয্যাশায়ী ইমান গত ২৫ বছরে বাড়ি থেকে বের হননি। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, তার ওজন ৫০০ কেজি। এদিকে, এই দাবি যদি সত্যিই হয়; তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে স্থুল নারী হিসেবে গিনেজ বুক রেকর্ডে জায়গা করে নিবেন তিনি। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে স্থুল নারী হিসেবে মার্কিন নারী পওলিন পটারের নাম গিনেজ বুক রেকর্ডে স্থান পেয়েছে ২০১০ সালে; তার ওজন ২৯২ কেজি।

মুম্বাইয়ের চিকিৎসক মুফাজ্জল লকদাওয়ালার এর আগে মন্ত্রী নিতিন গাদকারি ও ভেঙ্কা্ইয়া নাইডুর ওজন কমাতে সার্জারিতে অংশ নিয়েছিলেন। মুফাজ্জল লকদাওয়ালা বিবিসিকে বলেছেন, ইমানের মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ছবি দেখে মনে হচ্ছে তার ওজন ৪৫০ কেজি হেত পারে।

ইমানের পরিবার বলছে, জন্মের সময় ওজন ৫ কেজি ছিল। ১১ বছর বয়সের সময় থেকে তার শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। যে কারণে ছোটবেলা থেকেই সে হাঁটতে পারছিল না; হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করতো।

চিকিৎসক মুফাজ্জল লকদাওয়ালা বলেছেন, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় আগামী সপ্তাহে মুম্বাইয়ে পৌঁছাতে পারে ইমান।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।