খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৫

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রেখেছেন বিশেষ আদালত। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে বকশিবাজারে ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার শুনানির এ দিন ধার্য করেন। এ আদেশের মাধ্যমে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়না বহাল থাকলো।

এর আগে বুধবার সকালে দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার, আদেশ সংশোধন ও জামিন বহাল রাখার আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।  

পরে আদালতের বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রেখে খালেদা জিয়া সব আবেদন নথিভুক্ত করে মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ৫ এপ্রিল।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় শুনানিতে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মামলার অপর দুজন আসমি হলেন সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদ।
 
এ দিকে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, জামিন সাপেক্ষে কার্যালয়ে ফিরে আসার আশ্বাস এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বুধবার আদালতে যাবেন। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কার্যালয়ে ফিরে আসার নিশ্চয়তা পেলে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করবেন।
 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসাীয় শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।