ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭


প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে আঘাত হানা ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড় ৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান তাতাং সুলাইমানের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে বলছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

তাতাং সুলাইমান টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো চার-পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন; তবে তারা জীবিত আছেন কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

Indonesia

সেনাপ্রধান বলেন, আমরা সূর্যাস্তের পূর্বে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধারকাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।  

ইন্দোনেশিয়া জাতীয় দুর্যোগ নিরসন সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো বলেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আচেহ প্রদেশে শতাধিক সেনাসদস্যসহ কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মী মোতায়েন রয়েছে। তিনি বলেন, এক কোটি ৪৮ লাখ ইন্দোনেশীয় অথবা মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় বসবাস করেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বলেছে, তারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আচেহ প্রদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য দুই সদস্যের একটি দল পাঠিয়েছেন। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানে কী প্রয়োজন সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য জানাতে ঘটনাস্থলে তারা হবে আমাদের চোখ এবং কান।

Indonesia

জাতীয় দুর্যোগ নিরসন সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভূমিকম্পে অন্তত দুই শতাধিক দোকানপাট, ভবন, বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আচেহ প্রদেশের অন্তত ১৪টি মসজিদ ও একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, আচেহ প্রদেশের উত্তরের রিওলিওট শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে স্থানীয় সময় সকাল ৫টা তিন মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১৭ কিলোমিটার। ২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে সুনামির আঘাতে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।