মহারাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হলো গো-হত্যা


প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ০৩ মার্চ ২০১৫

ভারতের মহারাষ্ট্রে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে গরু, ষাঁড়, বলদ ও বাছুর হত্যা। মহারাষ্ট্র অ্যানিমল প্রিভেনশন অ্যাক্ট (এমএপিএ) এর অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সোমবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এই নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে তাঁর সম্মতি জানিয়েছেন। তবে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতিক্রমে স্ত্রী মহিষ জবাই করা যাবে।

এই আইনের অমান্য করলে শাস্তি জামিন অযোগ্য ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মহারাষ্ট্রে পশুহত্যা বিরোধী আইনে আগে এই সাজার মেয়াদ ছিল ছয় মাস। জরিমানার টাকার অঙ্কও ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হয়েছে।

১৯৭৬ সাল থেকে প্রণীত এই আইনের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী আগে ষাঁড়, স্ত্রী মহিষ ও মহিষের বাচ্চাকে হত্যা করা আইনসিদ্ধ ছিল। নতুন সংশোধন অনুযায়ী ষাঁড় বা বাছুরকেও এই ৫ নম্বর ধারার অধীনে আনা হয়েছে। যার অর্থ সে রাজ্যে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হলো এই জাতীয় পশু হত্যা।

১৯৯৫ সালে বিজেপি ও শিবসেনার জোট সরকার এমএপিএ-এর অধীনে ষাঁড়, বাছুর হত্যা বন্ধ চেয়ে একটি সংশোধন আনতে উদ্যোগী হয়। বিধানসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরে ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রের কাছে সম্মতি জানানোর জন্য এই বিল পাঠানো হয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সোমবার মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি আসে। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবিধানের ২০১ নম্বর ধারা অনুযায়ী এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, এই বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় আপত্তি জানিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল শুধুমাত্র বয়স্ক পশুদেরই জবাই করতে পাঠানো হয়। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে আমরা নেতাদের এই বিলটির গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হয়ছি।

বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।