মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার প্রতীক


প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬

গত বছরের শেষ দিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে বাঁচার আশায় বাবা-মার সঙ্গে ছোট্ট নৌকায় চেপে বসেছিল তিন বছর বয়সী শিশু আয়লান কুর্দি। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আশ্রয়ের আশায় যেতে চেয়েছিল গ্রিসে। কিন্তু সাগরের উত্তাল ঢেউ কেড়ে নিয়েছে আয়লান কুর্দিকে। মুখ থুবড়ে পড়েছিল আয়লান কুর্দির নিথর দেহ।

সাগর তীরে শিশু আয়লানের পড়ে থাকা মরদেহ হয়ে ওঠে বিপন্ন মানবতার প্রতীক। সেই সময় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

Rohingya

এবার একই চিত্র আবারো ভেসে উঠলো মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরে। সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে ১৫ জনের একটি দল বাংলাদেশের দিকে আসার চেষ্টা করছিল। মংডুর এই রোহিঙ্গারা নৌকায় চেপে বসেছিল। এ সময় নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ। রোববার রাতের এ ঘটনায় দুই শিশুসহ এক ডজনেরও বেশি রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটে।

পুলিশের গুলিতে নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও এক নারীর মরদেহ নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যায়। পরে নাফ নদীর মিয়ানমার অংশের তীরে মুখ থুবরে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক শিশুকে। হলুদ রঙের একটি শার্ট পরিহিত ছোট্ট এই শিশুর মুখ থুবড়ে পড়া ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটির নিথর কাদামাখা দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। কর্দমাক্ত দেই হাত চেপে রয়েছে।

Rohingya

মংডুর এক বৃদ্ধ বলেন, এই শিশুর অপরাধ কী ছিল? এই নিষ্পাপ বেসামরিকদের কী অপরাধ যে তাদের এভাবে হত্যা করতে হবে? নিষ্পাপ এই শিশুর নিথর দেহের ছবি যে কারো হৃদয়ে নাড়া দেবে।

পুলিশের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের অনেকেই উত্তরাঞ্চলের মংডুর রাইম্মাবিল গ্রামের বাসিন্দা। গত ৯ অক্টোবর থেকে সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানে এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।