রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজপথে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক


প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রোববার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। ওই সমাবেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি চুপ করে থাকবো না।’

মালয়েশিয়ার তিতিওয়াংসা স্টেডিয়ামের ওই মহাসমাবেশে সকাল ৯টায় ১০ হাজার মালয়েশিয়ান এবং রোহিঙ্গা সমবেত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। নাজিব মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাটিকের (এনএলডি) প্রধান অং সাং সু চিকে তার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের কথা মনে করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী নাজিব সু চিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে এবার থামুন।’

Malayasia

তিনি বলেন, ‘এখানে আমার উপস্থিতি এটা বুঝায় না যে আমি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছি। আমি এই সমাবেশ করছি। কারণ রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিয়ানমার সরকারকে এক বিবৃতে বলেন, ‘আসিয়ান চার্টারের একটি আর্টিকেলে বলা হয়েছে, অন্য কোনো দেশ অন্য বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। মিয়ানমার শুধু একটি আর্টিকেলের কথা বলছে। ওই একটি ছাড়াও আরো অনেক অনুচ্ছেদ রয়েছে। সেখানে মানবাধিকারের কথাও বলে হয়েছে।’

Malayasia

নাজিব বলেন, ‘তারা কি অন্ধ? তারা শুধু ওই একটি অনুচ্ছেদই দেখে? তারা আমাদের কাছ থেকে কি আসা করে? আমরা আমাদের চোখ ও মুখ বন্ধ রাখবো? তারা যা ইচ্ছা করবে আমরা কিছুই দেখবো না আর বলবো না? আমি আমার চোখ মুখ বন্ধ রাখতে পারবো না। যতদিন না রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ব্যবস্থা করা হবে ততোদিন আমরা এর বিরুদ্ধে লড়ে যাবো। দু’দিন আগে আমি মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্টেটমেন্ট পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে আমি যদি আজ সমাবেশ করি তাহলে আমি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছি সেটাই প্রমাণ হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা আমাকে সতর্ক করছে। কিন্তু আমি সেটার পরোয়া করি না। আমি শুধু একজন নাজিব রাজাক না, আমি এখানে এসেছি মুসলিম উম্মাহর এবং একজন মালয়েশিয়ান হিসেবে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত জনতা মন দিয়ে তার বক্তৃতা শুনছিলেন এবং সবাই তাকে উৎসাহ দিয়েছেন।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।