দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি ভাঙলেন ট্রাম্প


প্রকাশিত: ০৫:২৯ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬

১৯৭৯ সালের দিকে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছিল। এর মধ্যে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দীর্ঘ কয়েক দশক পর দু’দেশের প্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে।

ট্রাম্পের ট্রানজিশন দলের কর্মীরা বলছেন, নিজেদের মধ্যে ফোনালাপে ট্রাম্প এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন দুজনই অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।

দু’দেশের এমন পদক্ষেপ অবশ্য চীনকে রুষ্ট করতে পারে। কারণ তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে চীন।

ওই দ্বীপটিকে লক্ষ্য করে চীনের শত শত মিসাইল প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে জোর করে এর কর্তৃত্ব নেয়ারও হুমকি রয়েছে চীনের পক্ষ থেকে। যদিও সর্বশেষ এই ঘটনার পর বেইজিং এর পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি।

ট্রাম্প সাই ইংকে গত জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সী তাইওয়ানের এই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তাইপে এবং বেইজিং এর সম্পর্ক বদলানোর বিষয়ে আশাবাদী।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন আরো বলছে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হতে পারে ।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব হস্তান্তরে কর্মরত দলকে জানাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।