নৃশংসতা মেনে নেয়া সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র তথাকথিত আন্দোলনের নামে দেশে গণহত্যা চালাচ্ছে। কারো পক্ষেই তাদের এ ধরনের নৃশংসতা মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার সকালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিষয়ক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা করছে। তারা খুনের দায় এড়াতে পারে না। মূলত তারা গণহত্যা চালাচ্ছে। তাদের এই নৃশংসতা কেউ মেনে নিতে পারে না। এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে আল্লাহ তাদের সুমতি দিন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। মানুষ তাদের এই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি। এ জন্য তারা পেট্রল বোমা ছুঁড়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট এই ভীতিকর পরিস্থিতি খুবই অমানবিক। একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পুড়িয়ে মারছে এটা চিন্তা করা যায় না। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত চক্র এই অপরাধই করে চলছে। তাদের পেট্রল বোমা সন্ত্রাসে এ পর্যন্ত একশ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং কয়েকশ’ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যু যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। রাজনীতির লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সমস্যা সমাধান করে তাদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা। তিনি প্রশ্ন করেন যে, এভাবে মানুষ হত্যা করা হলে জনকল্যাণের রাজনীতির লক্ষ্য অর্জিত হবে কিভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অবরোধের সঙ্গে হরতালও দিচ্ছে। এটা যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
তিনি বলেন, মানুষ যখন সুখ-শান্তিতে বাস করছে এবং তারা উন্নত ও সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখছে, সে সময় বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোন যুক্তি নেই। সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে তখন তাদের আন্দোলনে যুক্তিযুক্ত হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ কেন কোন ব্যক্তি বা দলের ভুলের মাশুল দেবে। তারা আগামী প্রজন্মের জীবন ধ্বংস করতে এই আন্দোলন করছে। বিএনপি-জামায়াতের তথাকথিত আন্দোলনে ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়েছে। মানুষের প্রতি বিএনপি নেত্রীর ন্যূনতম দরদ ও ভালবাসা থাকলে তিনি এমন ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিতে পারতেন না।
দ্য সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস বাংলাদেশ (এসপিএসবি) ৪ দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। এতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে এসপিএসবি সভাপতি ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, এসপিএসবি মহাসচিব ডা. মো. আবুল কালাম, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অঞ্জন কুমার দেব বক্তৃতা করেন।
আরএস/আরআই