বিপ্লব পুষ্পশয্যা নয় : ফিদেল কাস্ত্রো


প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

কিউবার বিপ্লবী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো ৯০ বছর বয়সে মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে কিউবার রাজধানী  হাভানায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর মাধ্যমে অবসান ঘটলো দীর্ঘ বিপ্লবী এক প্রাণের।

সাবেক এই বিপ্লবী নেতা ১৯৫৯ সালে তৎকালীন বাতিস্তা শাসককে হটিয়ে কিউবার ক্ষমতায় আসেন; চালু করেন নতুন এক শাসনব্যবস্থা; গড়ে তোলেন সাম্যবাদী রাষ্ট্র। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত পাঁচ দশক ধরে দেশটির শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি।

বিপ্লবী কিউবার নেতা বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোষাণলে পড়েছিলেন। কিন্তু নিজের অবিচল লক্ষ্য সাম্যবাদী রাষ্ট্রের স্বপ্ন থেকে পিছু হটেননি তিনি। বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

তার এসব মন্তব্য অনেকের কাছে স্বপ্নের পাথেয় এবং কারো কাছে বিপ্লবের বার্তা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বিপ্লবী কাস্ত্রোর কিছু উল্লেখযোগ্য উক্তি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

১৯৫৯ সালে কিউবান বিপ্লবের সময় তিনি বলেন, ‘আমি ৮৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে বিপ্লব শুরু করেছিলাম। যদি আবারো এটি করতে হয় তাহলে আমি ১০ থেকে ১৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে করবো এবং পরম বিশ্বাসে।’

বিপ্লবের মাত্র ৩০ দিনের মাথায় প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের অ্যাডওয়ার্ড মুরোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার দাড়ি কাটা নিয়ে চিন্তা করছি না, কারণ আমি এতে অভ্যস্ত এবং আমার দাড়ি আমার দেশের জন্য অনেকে অর্থ বহন করে। আমাদের সরকারের সব প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে আমার দাড়ি কেটে ফেলবো।

একই বছরে তিনি বলেন, বিপ্লব পুষ্প শয্যা নয়। ভবিষ্যৎ এবং অতীতের মধ্যে একটি লড়াই হলো বিপ্লব। ১৯৮৫ সালে ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সময় তিনি বলেন, আমি একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে অবশ্যই কিউবাকে ধূমপানমুক্ত করবো। আমি এটাকে খুব বেশি মিস করি না।

২০০৩ সালে একটি ডকুমেন্টারিতে কাস্ত্রো বলেন, বিপ্লবের সবচেয়ে উপকার হলো আমাদের যৌনকর্মীরাও স্নাতক পাস হবেন।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।

এসআইএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।