সিরিয়ায় ১০ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ : জাতিসংঘ
সিরিয়ায় অবরুদ্ধ মানুষের সংখ্যা গত ছয় মাসে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। বর্তমানে দেশটিতে অবরুদ্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর : বিবিসির।
ছয় মাস আগে যেখানে অবরুদ্ধ মানুষের সংখ্যা ছিল চার লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ জন, সেখানে বর্তমানে অবরুদ্ধ মানুষের সংখ্যা নয় লাখ ৭৪ হাজার ৮০ জনে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘ বলছে, এই মানুষদের একটি বিশাল অংশ সরকারি বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ। যারা খাদ্য পাচ্ছে না, তাদের ওপর বোমা হামলা চলছে এবং তারা চিকিৎসার কোনো সুযোগও পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিভাগের প্রধান স্টিফেন ও ব্রায়ান বলেন, বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা বন্ধে এবং মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এর আগে নেয়া বিভিন্ন প্রস্তাব আটকে দিয়েছিল সিরিয়ার মিত্র, রাশিয়া।
নতুন করে অবরুদ্ধ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত দামেস্কের উপকণ্ঠে জোবার, হাজার, আল আসওয়াদ এবং খান আল শিহ এলাকা।
ও ব্রায়ান বলেন, গত কয়েক দিনে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে বোমা হামলায় কয়েক শত বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিষ্ঠুর কৌশলের’ অধিকাংশই গ্রহণ করছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী।
এদিকে সিরিয়ায় দ্রুত বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার। তিনি বলেন, রুশ এবং সিরিয়ার বাহিনী আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে ‘অমানবিক প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি করে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
তবে জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত, বাশার আল জাফরি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১৩ জন সিরীয় সেনা কমান্ডারের নাম ঘোষণা করেছে, যারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং তাদের ওপর হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিভাগের প্রধান বলছেন, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এখন আর চিকিৎসার কোনো সুবিধা নেই বললেই চলে।
এ মাসেই রোববার পর্যন্ত পশ্চিম আলেপ্পোতে অন্তত ৩৫০টি মর্টার এবং রকেট হামলা চালানো হয়েছে, যাতে ৬০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
রোববারেই সরকার-নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকার স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়, যেখানে আট শিশু নিহত হয়।
জেডএ/এনএইচ/পিআর