ইসরায়েলে সেনাবাহিনীতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে


প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৬

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদানের হার বেড়ে গেছে। নারীরা স্বেচ্ছায় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৮ বছর বয়সী এক নারী সদস্য জানান, ‘এই ইউনিটকে বেছে নেয়ার জন্য আমার কোনো আফসোস নেই। আমি সম্ভাব্য সবচেয়ে বেশি লড়াকু ইউনিটে যোগ দিতে চাই।’

বিপুলসংখ্যক নারী কমবেট ইউনিটে যোগ দিচ্ছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মাত্র চার বছর আগেও এই কমবেট ইউনিটে মাত্র তিন শতাংশ নারী ছিল। বর্তমানে এই ইউনিটে নারীর সংখ্যা বেড়ে সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

২০১৭ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ৯.৫-এ পৌঁছাবে বলে সেনাবাহিনী আশা করছে। সমাজের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক সৈন্যের অভাব- এই দুই কারণেই ‘কমবেট ইউনিট’টিতে নারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অবস্থান সমাজের প্রাণকেন্দ্রে। এখানে প্রায় সব ইহুদি নাগরিককেই কাজ করতে হয়।

এমনকি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই হাগানায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে এই অঞ্চলটি খুবই শক্তিশালী।

বর্তমানে ছেলেদের বয়স ১৮ বছর হলেই দুই বছর আট মাসের জন্য তারা সেনাবাহিনীতে চাকরি নেন। অন্যদিকে, মেয়েরা দুই বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে চাকরি নিচ্ছেন।

অতীতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে নারীরা রেডিও অপারেটর অথবা সেবিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে ক্যারাকাল ব্যাটালিয়ন নামে প্রথম যৌথ ইউনিট গড়ে তোলা হয়।

ওই বছরেই ইসরায়েলে একটি সংশোধিত আইনে বলা হয়, পুরুষদের মতো যে কোনো স্থানে, যে কোনো ধরনের কাজ করার সমান অধিকার নারীদেরও রয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যে তিনটি যৌথ ইউনিট রয়েছে বারদেলাস তার অন্যতম একটি ইউনিট। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে চতুর্থ ব্যাটালিয়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে সেনাবাহিনীর।

ইসরায়েলের নারীদের মধ্যেও দিনে দিনে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছা বেড়েছে- কারণ এখন অনেক নারীই মনে করেন, একজন পুরুষ যা করতে পারে, একজন নারীও তা পারে।

টিটিএন/এনএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।