ইতিহাস গড়া হলো না হিলারির


প্রকাশিত: ০৭:৫২ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৬

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ২২৭ বছরের ইতিহাসে দেশটির প্রধান কোনো রাজনৈতিক দলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছিলেন হিলারি। আর তাই বিশ্ববাসী ভেবেছিলেন, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন হিলারি। কিন্তু ট্রাম্পের কাছে হেরে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে পারলেন না হিলারি। ইতিহাস গড়া হলো না তার।

নির্বাচিত হওয়ার জন্য পুরো দেশ চষে বেড়িয়েছেন হিলারি। ক্যাফে, গির্জা, সমাবেশ- যেখানেই গেছেন সেখানে একবার হলেও তার গত চার দশকের কর্মজীবনে বিরোধীদের কাছ থেকে যে আক্রমণ ও তিক্ততার শিকার হয়েছেন, সেসব প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। সর্বশেষ এক জরিপে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়েও ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারলেন না তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর জয়ী হতে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেতে হয়। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রাম্প প্রয়োজনীয় ২৭০টিরও বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

এ রকম ফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিষণ্নতা ভর করে তাদের। মঙ্গলবার দিন শেষে হিলারির অনেক সমর্থককে জনসম্মুখ থেকে অন্তরালে যেতে দেখা গেছে। হিলারির নির্বাচনী সহকারীরা গণমাধ্যমকর্মীদের যে ব্রিফিং করতো, তাও বন্ধ রাখে।  

২০০৮ সালে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিতে বারাক ওবামার কাছে হেরে বিদায় নেন তিনি। কিন্তু, হিলারির যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না মার্কিনিদের মধ্যে। সফলভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের কারণে তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। তাই তিনি নতুন করে এবার অনেক আশা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু পারলেন না হিলারি।

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।