কে পাচ্ছেন ২৭০ ইলেক্টরাল ভোট
৪৫তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। একইসঙ্গে ১০০ আসনের সিনেটের ৩৪ এবং প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনেও নির্বাচন হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের ফল পাওয়া যাবে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত জরিপে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি অনুযায়ী জিততে হলে কোনো প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটে হিলারি ২৭৫ ইলেক্টরাল প্রতিনিধির সমর্থন পেতে পারেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেতে পারেন ২১৫ ইলেক্টরাল ভোট।
নিয়ম অনুযায়ী ভোটারদের ভোটে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় না। তাদের ভোটে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টরাল কলেজের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ইলেক্টরাল কলেজের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন প্রেসিডেন্ট।
তাই খুব সহজ কথায় বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের প্রথম কাজ হলো তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়া। এর পরের কাজ ইলেক্টরালদের। সে হিসেবে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার আজ ইলেক্টরাল কলেজের সদস্য নির্বাচিত করতে ভোট দিচ্ছেন।
আজকের ভোটে নির্বাচিত ইলেক্টরাল কলেজ সদস্যরা আগামী ১৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট দেবেন প্রেসিডেন্টকে। ডিসেম্বরে সেই ভোট গণনা করা হবে। ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করা হবে। নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন ২০ জানুয়ারি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ রাজ্যসহ মোট ইলেক্টরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। যার মধ্যে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ৪৩৫ জন ও সিনেট সদস্য ১০০ জন। এ নিয়ে মোট ৫৩৫ জন। এছাড়া বিশেষ মর্যাদায় ৩টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির। সব মিলিয়ে ৫৩৮ ইলেক্টরাল কলেজ সদস্য যার অর্ধেক ২৬৯। প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হতে হলে অর্ধেকের বেশি ইলেক্টরাল ভোট পেতে হবে। সে হিসেবে ২৭০ ইলেক্টরাল ভোট পেলেই কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হবেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে প্রকাশিত জরিপ সত্যি হলে ২৭৫ ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসে।
ওআর/এবিএস