বিএনএফ প্রধানের বক্তব্যে সংসদে হট্টগোল
কূটনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিত রাজধানীর গুলশান-বনানী থেকে জাতীয় পার্টির অফিস সরানোর বিএনএফের প্রধানের দাবি নিয়ে রোববার সংসদে হট্টগোল হয়েছে। ওই এলাকার এমপি বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ওই দাবি করেন। একইসঙ্গে তিনি বিরোধী দলকে সরকারের অনুগত পোষ্য ও দালাল বলে অভিহিত করেন।
তিনি গুলশান এলাকা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বনানীতে থেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কার্যালয়সহ কূটনৈতিক পাড়া থেকে সকল দলের অফিস সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানালে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তার এই বক্তব্যে সংসদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাপা এমপিরা। এসময় জাপা এমপিদের হৈচৈ সংসদে সাময়িক অচলাবস্থা সৃষ্টি করে। সংসদে সভাপতির আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া জাপা এমপিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
সোমবার সন্ধ্যায় সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এমপি শিরীন আক্তার গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয় সরিয়ে নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারে পদক্ষেপ নিতেও বলেন।
এরপর আবুল কালাম আজাদ বলেন, কূটনীতিক এলাকা (ডিপ্লোম্যাটিক জোন) থেকে সকল রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে ফেলতে হবে। গুলশান এলাকায় খালেদা জিয়ার কার্যারয়সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে উল্লেখ করে সেগুলোও সরিয়ে ফেলতে বলেন তিনি। তার এ বক্তব্যের সময় জাতীয় পার্টির কয়েকজন এমপি মাইক ছাড়া বলতে থাকেন `ওরে ধর,ধর। ওখান থেকে নামা `। এ সময় কয়েকজন জাপা এমপি নিজের আসন ছেড়ে আজাদের দিকে তেড়ে আসেন।
আবুল কালাম আজাদ জাপা এমপিদের উদ্দেশে বলেন, এরা দালাল সরকারের অনুগত বিরোধী দল। এরা স্বৈরাচার। এরপর জাপা এমপি শওকত চৌধুরী ফ্লোর নিয়ে বলেন, উনার (আজাদ) বিএন না কি যেন দল। নামও জানি না। এরশাদ সাহেবের অনুগ্রহের কারণে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। এরশাদ সাহেব মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করলে তিনি এমপি হওয়ার সুযোগ পেতেন না। তার এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। না হলে আমরা সংসদ থেকে ওয়াক আউট করবো।
পরে জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ এবং তার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানান। এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন,পরীক্ষা করে বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হবে। আর ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি স্পিকারের আসন থেকে বলা সম্ভব নয়। তিনি নিজে যদি স্বতঃস্ফুর্তভাবে বিষয়টি অনুধাবন করেন সেটাই মঙ্গল।
এএইচ/পিআর