ঘরের সাজে কার্পেট
ঘর সাজাতে বর্ণিল নকশার কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। নানা ধরনের বর্ণিল নকশার কার্পেট ঘরের সৌন্দর্য বহু গুণ বৃদ্ধি করে। ধুলাবালি থেকে মেঝেকে রক্ষা করতে কার্পেট ব্যবহৃত হয়। কার্পেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঘরের রঙ, আসবাবপত্র, পর্দার রঙ, সাজসজ্জার জিনিসপত্রকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ ছাড়াও ঘরের রঙের বিপরীতধর্মী কার্পেটের রঙ নির্বাচন করতে পারেন। কার্পেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে রুমের স্পেসের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। বসার ঘরে সারা বছরই কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। ডাইনিং রুমে কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। যদি করতে চান তবে হালকা-পাতলা প্লাস্টিক জাতীয় কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। কার্পেট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি ঘরকে আলাদা সৌন্দর্য দিতে পারেন। সম্পূর্ণ ঘরকে নির্বাচন না করে, ঘরের একটি নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচন করে ছোট ছোট কার্পেট ব্যবহার করুন।
কার্পেট স্থায়ীভাবে ভালো রাখতে-
১. আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় কার্পেট রাখুন।
২. আগুন বা পানি থেকে কার্পেট দূরে রাখাই ভালো।
৩. ভেজা বা আর্দ্র জায়গায় কার্পেট না রাখাই উচিত। অন্যথায় তা সহজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. নিয়ম করে কার্পেট পরিষ্কার রাখুন। ধুলাবালি জমতে না দেওয়াই ভালো। দু`মাসে একবার হালকা রোদে দিয়ে ঝেড়ে নিন।
৫. ইঁদুর জাতীয় প্রাণী বা পোকামাকড় থেকে কার্পেট বাঁচাতে মাঝেমধ্যে কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন।
৬. অনেক জায়গায় কার্পেট ওয়াশ করা হয়। হট ওয়াটার ওয়াশিং, স্ট্রিম ক্লিনিং, ড্রাই ক্লিনিং করে কার্পেট পরিষ্কার রাখতে পারেন।
রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, এলিফ্যান্ট রোড, বায়তুল মোকাররম, উত্তরা ও গুলশান মার্কেটে কার্পেট পাবেন। পিস, ফুট, গজ হিসেবে কার্পেট বিক্রি হয়। তুরস্ক, ইরান, চীন, বেলজিয়াম, দুবাইয়ের কার্পেট পাওয়া যায় এখানে। বাহারি, বুনন মজবুত ও টেকসই হয়। দেখতে সুন্দর ও দামও বেশি পড়বে। এসব বিদেশি কার্পেটের দাম পড়বে তিন হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। দেশীয় পাটের কার্পেটের চাহিদাও প্রচুর। ঘরে দেশীয় আমেজ তৈরি করতে পাটের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। এর গজ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।
কার্পেটের নকশা ও মানের ওপর নির্ভর করে দাম। তাই কেনার আগে একটু সচেতনভাবে কার্পেটের দাম যাচাই করে কিনতে পারেন। প্লাস্টিক জাতীয় কার্পেট গজ হিসেবে কিনতে হয়। ডিজাইনের ওপর বাহারি ধরনের এসব কার্পেটের গজ পড়বে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা।
এইচএন/এমএস