কলকাতার অন্ধকার জগৎ নিয়ে ছবি (ভিডিও)
ম্যাসাজ পার্লার, এসকট সার্ভিস, বন্ধুত্বের হাতছানি এসব কলকাতা শহরের বুকে নতুন নয়। প্রতিদিন খবরের কাগজের পাতায় চোখ রাখলেই হদিশ মেলে বিভিন্ন ম্যাসাজ পার্লার থেকে শুরু করে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের বিজ্ঞাপন। কিন্তু এসবের আড়ালেই গড়ে উঠেছে নীল ছবির দুনিয়া। আর এই সম্পর্কে এখনও ততোখানি সজাগ নয় শহরবাসী। চেনা শহরের মধ্যেই গজিয়ে ওঠা এই অন্য দুনিয়াকে বন্দি হয়েছে পরিচালক রণদীপ সরকারের ক্যামেরায়। ছবির নাম অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।
এই কলকাতার মধ্যে আছে আর এক কলকাতা। পরিচালক রণদীপ সরকার নিজে আবিষ্কার করছেন সে কলকাতাকে। কোনও এক উপন্যাস অবলম্বন করে চাইলেই তিনি তাঁর গল্পের কাহিনির কাঠামো গড়ে তুলতে পারতেন। তবে চেনা ছকে না হেঁটে এক অন্ধকার কলকাতাকে খুঁজে নিয়েই, তার গল্প শোনাচ্ছেন তাঁর নতুন ছবিতে।
পরিচালকের দাবী, এমন বিষয় নিয়ে এর আগে কোনও বাংলা সিনেমাই তৈরি হয়নি। গল্পের চিত্রনাট্য সাজাতে ফিল্ড ওয়ার্কে এতটুকু কমতি দেননি। তিনি নিজে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন ম্যাসাজ পার্লারে। নিঃসঙ্গতা মেটাতে কাগজের বন্ধুত্বের যে বিজ্ঞাপন থাকে, সেখানে ফোন করে দেখেছেন আসলে নিঃসঙ্গতা কাটানোর নামে কী চলছে। আর এই সব করতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করে ফেলেছেন এক অন্ধকার জগৎ আর সে জগতের নোংরা ব্যবসাকে। এ হল পর্ণ ফিল্ম তৈরির এক সংগঠিত ইন্ডাস্ট্রি। বাইরে নাম এক হলেও আসলে এরা বহুরূপী। উপরের পরত সরিয়ে দিলেই বেরিয়ে পড়ে নীল ছবি তৈরির আর এক রূপ, যা নিয়ে রণদীপের এবারের গল্প।
পরিচালক জানিয়েছেন, এটা কোন নোংরা ছবি নয়। ছবিটিতে দেখা যাবে সাহেব ভট্টাচার্যকে। সাহেব এখানে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। এছাড়া রয়েছে নীলও। নীলই এই গল্পে অন্ধকার জগতের ফাঁদে পড়ে।
অন্যদিকে নীল জানিয়েছেন, এই প্রথম চকলেট বয় ইমেজ ছেড়ে আমি সিরিয়াস কোনও চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করেত হয়েছে। আশা করছি দর্শকদের এটা পছন্দ হবে।
বিষয়ে অভিনবত্ব নিশ্চয়ই আছে। এরকম একটা বিষয় শহরবাসীকে অনেকটাই এই ফাঁদ সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে বলেই আশা।
এএ