ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড মহাসড়কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

মিয়ানমারের মধ্যে দিয়ে সড়কপথে সংযোগ স্থাপন করে থাইল্যান্ড তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা ভারতে ব্রিকস ও বিমসটেক সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের একটি বড় লক্ষ্য হবে। এই মুহূর্তে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে যে ত্রিদেশীয় হাইওয়ের পরিকল্পনা চলছে, বিমসটেকের মাধ্যমে বাংলাদেশকেও তাতে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আউটরিচে যোগ দিতে আগামীকাল গোয়ায় যাবেন। বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো পরিষ্কার করে দিয়েছে আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিকে আরও প্রসারিত করাই হবে গোয়ায় তাদের প্রধান লক্ষ্য। বিমসটেক কথাটার মধ্যেই আছে মাল্টি-সেক্টোরাল বা বহুমাত্রিক সহযোগিতার অঙ্গীকার। কিন্তু গোয়ার আউটরিচে তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কানেক্টিভিটিকে।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় তারা ভারত-নেপাল-ভুটানের সঙ্গে মিলে যে সংযোগ গড়ে তুলছেন এবার বিমসটেকের মাধ্যমে সেটাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতও বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কানেক্টিভিটি অচিরেই একটা নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে যাচ্ছে এবং শিগগিরই মিয়ানমারও এই যোগাযোগের বৃত্তে সংযুক্ত হবে।

দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক সচিব অমর সিনহার কথায়, ১৯৬৫ সালের আগে ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যতগুলো যোগাযোগের মাধ্যম ছিল তার সবগুলোই একে একে আবার চালু করা হচ্ছে। নদীপথগুলো ইতোমধ্যেই কাজ করছে, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথও চালু হওয়ার অপেক্ষায়।

সিনহা বলেন, এরই মধ্যে মিয়ানমার হয়ে কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট রুটের কাজও ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে, বছর তিনেকের মধ্যে সেখানে মিজোরাম অবধি রাস্তাও তৈরি হয়ে যাবে। এসব প্রকল্পের অর্থায়নে সময় লেগেছে, কিন্তু ২০১৮-২০১৯ এর মধ্যে এগুলো সবই কিন্তু বাস্তবায়ন হবে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার কিংবা ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ এশিয়া আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এতদিন যেন একটা অদৃশ্য বাধার প্রাচীর ছিল; যে কোনও আন্তর্জাতিক সড়ক তৈরির প্রস্তাব ওইখানে এসে আটকে যেত। কিন্তু হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি বলছেন, বিমসটেক এখন সেই দেয়ালটাকে ভাঙার চমৎকার সুযোগ এনে দিয়েছে।

তার এই বক্তব্যের রেশ ধরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলছে, অবকাঠামোগত ও ডিজিটাল, দেই ধরনের কানেক্টিভিটি তৈরির জন্যই তারা বিমসটেকের সদস্যদের সঙ্গে সক্রিয় তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সেক্রেটারি (ইস্ট) প্রীতি শরণের কথায়, যেহেতু বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই বিমস্টেকের সদস্য, ফলে তাদের দুজনের ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের মধ্যেকার ত্রিদেশীয় হাইওয়েকেও দুদিকে আরও সম্প্রসারিত করার কথাও ভাবা হচ্ছে। আসলে কানেক্টিভিটি হল এমন একটা অবকাঠামো যা হয়তো চোখে দেখা যায় না। কিন্তু একটা অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়নে সেটা বিরাট ভূমিকা রাখে। বিবিসি বাংলা।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।