একদিনে দুই পরীক্ষা!


প্রকাশিত: ০৫:৩১ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আবারও পিছিয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২০ দলের ৭২ ঘণ্টার হরতালের কারণে রোববারের পরীক্ষা পিছিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের পরীক্ষা ১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার চট্টগ্রাম ডাকবাংলোয় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা পেছানোর এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এদিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সূচিতে বড় ধরনের রদবদল আসতে পারে বলে জানা গেছে।

ছুটির দিনগুলোতে দিনে দুটি পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে `বিশেষ রুটিন` প্রণয়নের অনানুষ্ঠানিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় হরতালের কারণে এরই মধ্যে চলমান এসএসসি ও সমমানের চার দিনের প্রায় ২০টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছাতে হয়েছে।

২০ দলের লাগাতার অবরোধ ও মাঝেমধ্যে হরতালের এ প্রক্রিয়া চলতে থাকায় যথাসময়ে পরীক্ষা শেষ করা নিয়ে সন্দিহান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই প্রয়োজনে একদিনেই সকাল-বিকাল দু`দফায় দুটি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা তো মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। সময় মতো পরীক্ষা শেষ করে, খাতা মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করতে হবে। এই শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীর সেশন শুরু হবে জুলাই মাসে। এ ছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানায়, এর আগে পরীক্ষা বিএনপির অবরোধের মধ্যেই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শুধু হরতালের দিনগুলোর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে হরতাল কর্মসূচি বাড়িয়ে দেওয়ায় এখন তাদের বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। পূর্বঘোষিত সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে ১৩ মার্চের মধ্যেই লিখিত পরীক্ষা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখার একজন যুগ্ম সচিব বলেন, `আমরা জানি, একদিনে দুটি পরীক্ষা নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ পড়বে। অভিভাবকরাও অনেকে হয়তো আপত্তি করবেন। তবে বাস্তবতার নিরিখে এ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। অভিভাবকরা অবশ্যই তা বুঝবেন।`

মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করার এ সিদ্ধান্তের একটি অন্যতম কারণ হলো প্রশ্নপত্রের বিষয়ে নিরাপত্তা। পরীক্ষার সময় দীর্ঘায়িত হলে প্রশ্নপত্রের বিষয়ে নিরাপত্তা বিধানও কঠিন হয়ে পড়ে।

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে রোববার এসএসসিতে ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে আজ আরবি প্রথম পত্র ও মঙ্গলবার আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

এ ছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে গণিত-২ (১৯২৩) ও গণিত-২ (৮১২৩) এবং মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়-২ (১৯২৪) (সৃজনশীল) ও সামাজিক বিজ্ঞান-২ (৮১২৪) (সৃজনশীল/সাধারণ) বিষয়ের পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল।

এই সবক`টি পরীক্ষা এখন আগামী শুক্র ও শনিবার যথাক্রমে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ও ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলবে। এ নিয়ে এবারের এসএসসি ও সমমানের চার দিনের ২০টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে গেল। এর আগে হরতালের কারণে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন ২ ফেব্রুয়ারির ও দ্বিতীয় দিনের, অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: সমকাল

বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।