রিপাবলিকান নেতাদের সমর্থন হারালেন ট্রাম্প


প্রকাশিত: ০৬:৫২ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৬

নারীদের প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করায় আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন তুলে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা। নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য সম্বলিত ট্রাম্পের একটি ভিডিও টেপ সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না। খবর বিবিসির।

তবে ট্রাম্প বলছেন, যাই ঘটুক না কেন তিনি কখনোই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না এবং তার সমর্থকদের হতাশ করবেন না। শুধু তাই নয় দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কেও অংশ নেবেন বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।

২০০৫ সালে তৈরি ওই ভিডিও টেপটি প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গেছে, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়েন। সুন্দরী নারীরা তাকে আকৃষ্ট করে।

ওই ভিডিওতে টেলিভিশন উপস্থাপক বিলি বুশকে উদ্দেশ করে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গেছে, ‘তুমি যখন একজন তারকা তখন নারীদের সঙ্গে তুমি যা খুশী তাই করতে পারবে। তাদের ইচ্ছামত নিজের কাছে টানতে পারবে।’

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন  রিপাবলিকান দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। শুধু তাই নয় ট্রাম্পের এমন অশালীন মন্তব্যের কারণে তার প্রতি সমর্থন তুলে নিয়েছেন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস।

ম্যাককেইন বলেছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কারণে তার প্রতি শর্তসাপেক্ষে সমর্থন দেয়াও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, কন্ডোলিজা রাইস বলেছেন, যথেষ্ট! ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত নয়। তার সরে দাঁড়ানো উচিত।

বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্পের পরিবর্তে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মাইক পেন্সকে ভোট দিতে চান।

এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার পল রায়ান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেয়া একটি আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন,  ট্রাম্পের মন্তব্য শুনে তিনি অসুস্থবোধ করছেন।

এর আগে মিট রমনি, জন কেসিক, জেব বুশ, লিন্ডসে গ্রাহামসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

টিটিএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।