হাইতিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৯
হাইতিতে হারিকেন ম্যাথিউয়ের আঘাতে এ পর্যন্ত ৩৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। শুধুমাত্র রোচে-আ-বাতিয়াও শহরেই ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
জেরেমির কাছাকাছি শহরে ৮০ ভাগ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাদ প্রদেশে ৩০ হাজার বাড়ি-ঘর হ্যারিকেনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
বর্তমানে হারিকেনটি শক্তি হারিয়ে ৩ মাত্রা ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিনেটর হারভে ফোরকান্ড এএফপি নিউজ এজিন্সিকে জানিয়েছেন, দুর্যোগে এ পর্যন্ত ৩শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩৩৯ জন মারা গেছে।
হাইতি, কিউবা এবং ডোমিনিক্যান রিপাবলিকের উপর তাণ্ডব চালানোর পর বাহামাসেও আঘাত হেনেছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন ম্যাথিউ।
বাহাসামে গাছ উপড়ে পড়ার ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এখনো পর্যন্ত কারো নিহত হওয়ার খবর নেই।
হাইতিতে নিহতদের বেশিরভাগই দক্ষিণ উপকূলের। সেখানে মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন মূলত গাছের নিচে চাপা পড়ে, উড়ে আসা কোনো কিছুর আঘাতে বা নদীর পানিতে ডুবে।
ঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু ভেঙে পড়ায় দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও জানিয়েছে, অনেক জায়গায় এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, বিদ্যুৎ নেই, পর্যাপ্ত খাদ্যও নেই।
জাতিসংঘের এক হিসেবে দেশটিতে এখন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন। আমেরিকান রেড ক্রসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মোবাইল নেটওয়ার্কের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
টিটিএন/পিআর