ভারতকে সমর্থন জানিয়ে মালদ্বীপের সার্ক বর্জন


প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ০১ অক্টোবর ২০১৬

আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চে ক্রমেই একা হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এর আগে সার্ক সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। এবার সেই দলে যোগ হয়েছে মালদ্বীপ। ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সার্ক সম্মেলন থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে ইসলামাবাদের ১৯তম সার্ক সম্মেলন বর্জন করেছে ভারত। সেই রেশ ধরেই আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান সার্ক সম্মেলনে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে, চেয়ারম্যান দেশের প্রটোকল মেনে নীরব রয়েছে নেপাল।

কূটনৈতিক মহলের ধারণা, অতীতে যখনই মালদ্বীপে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তাদের পাশে থেকেছে ভারত। ১৯৮৮ সালে সেদেশে সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করে ভারত। ভারতীয় নৌবাহিনীর পরিচালনায় ১৬শ প্যারাট্রুপারের ‘অপারেশন ক্যাকটাস’ মুক্ত করেছিল মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল গাইয়ুমকে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তারপরেই অনেকটা দৃঢ় হতে শুরু করে। তার পর বেশ কয়েকবার সেদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দমাতে উদ্যোগী হয়েছে দিল্লি।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ২০১৪ সালের ভয়ঙ্কর জলহীন মুহূর্ত। পানির অভাবে শুকিয়ে মরতে বসেছিল ভারত মহাসাগর ঘেরা প্রবাল দ্বীপরাষ্ট্রটি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশটির একমাত্র জলশোধন কেন্দ্র পুড়ে গিয়েছিল। সেসময় পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। গোটা বিশ্বকে এসওএস পাঠিয়েছিল মালদ্বীপ।

মালদ্বীপের সেই বিপদবার্তা পাওয়ামাত্র ফের তাদের পাশে দাঁড়ায় ভারত। তড়িঘড়ি বিশেষ বিমানে পানি পাঠানো হয় মালদ্বীপবাসীর জন্য। গ্যালন গ্যালন পানি নিয়ে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ পৌঁছে গিয়েছিল সে দেশে। কূটনীতিকদের ধারণা, মালদ্বীপের দিকে বার বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যুত্তর দিলেন সেদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল ইয়ামিন।

অন্যদিকে, একসময়কার পরম শান্তির এই দ্বীপরাষ্ট্রের মাটিতে উত্তরোত্তর বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী ঝোঁক। অনেকের মতেই, এই অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য মালদ্বীপের ভারতের পাশে থাকাই সমীচিন।

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তান কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মঞ্চেও এখন তারা একঘরে। এই অবস্থায় বারবার বিপদের সময় যে রক্ষা করেছে সেই ভারতেরই পক্ষ নিল মালদ্বীপ।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।