কিশোর কুমারের জন্মদিনে গুগল ডুডল


প্রকাশিত: ০৩:০২ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৪

গুগলের হোমপেজে আজ সোমবার একটি বিশেষ ডুডলের মাধ্যমে কিশোর কুমারের ৮৫তম জন্মদিন স্মরণ করছে অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগল। সঙ্গীত, অভিনয়, পরিচালক এবং চিত্রনাট্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান স্মরণ করেই গুগল আজ একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে।  

তার পুরো নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। ভারতবাসীর কাছে অবশ্য তিনি কিশোর কুমার। বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি গায়ক এবং নায়ক কিশোর কুমার। অসাধারণ প্রতিভাশালী এই মানুষটি ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্লেব্যাক গায়কদের অন্যতম। হিন্দির পাশাপাশি তিনি প্রচুর জনপ্রিয় বাংলা সিনেমাসহ বাংলা আধুনিক গানও গেয়েছেন। সাধারণত গায়ক হিসাবে তাঁকে দেখা হলেও তিনি হিন্দি সিনেমা জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন। ছবিতে অভিনয় ও কণ্ঠ দেওয়া ছাড়াও তিনি সফলভাবে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকারের ভূমিকা পালন করেছেন। কিংবন্তিতূল্য এই গায়কের আজ ৮৫তম জন্মদিন। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।  

কিশোর কুমার ১৯২৯ সালের ৪ আগষ্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে এক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ছিলেন একজন উকিল। তাঁর মার নাম ছিল গৌরী দেবী। কিশোর কুমারের ছোটবেলায় নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। চার ভাই বোনের ভিতর কিশোর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। সব থেকে বড় ছিলেন অশোক কুমার তারপর সীতা দেবী। তারপর অনুপ কুমার আর অনুপ কুমারের থেকে পাঁচ বছরের ছোট ছিলেন কিশোর কুমার। কিশোরের শৈশবকালীন সময়েই তাঁর বড়দা অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অশোক কুমার বোম্বেতে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে বড় সাফল্য পান। এই সফলতা ছোট্ট কিশোরের উপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।  

শুরু থেকে আজও তাঁর অনবদ্য গান বা সুর ঠিক আগের মতোই জনপ্রিয়। প্রায় চার দশক পরেও একইরকম জনপ্রিয়তার দৃশ্য একেবারেই বিরল। কিশোর কুমার এমন একজন গায়ক যিনি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরষ্কার পেয়েছেন `শ্রেষ্ঠ পুরুষ গায়ক` হিসেবে।

ব্যাক্তিগত জীবনে কিশোর কুমার চারবার বিয়ে করেছেন। রুমা গুহ ঠাকুরতা (১৯৫০-১৯৫৮), মধুবালা (১৯৬০-১৯৬৯), যোগিতা বালী (১৯৭৫-১৯৭৮) এবং লীনা চন্দাভারকর (১৯৮০-১৯৮৭)।

১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর এই কিংবদন্তি মৃত্যুবরণ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।