স্বাধীনতার দাবি অস্বীকার হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের


প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রথম সারির নেতা নাথান ল বলেছেন, দেশটির আইন পরিষদে সদ্য নির্বাচিত হওয়ার পরও স্বাধীনতার জন্য চীনা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন না।

নাথান বলেছেন, আমি স্বাধীনতার জন্য লড়ছি না, হংকংয়ের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপভোগ করা উচিত; সে বিষয়টিকে সমর্থন করছি। হংকংয়ের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে কেউ কথা বললে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে চীনের হুমকির পর সদ্য নির্বাচিত এই সাংসদ এসব কথা বলেছেন।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা দেশটির আইনসভায় জয়ী হওয়ার পর ওই কঠোর বার্তা এসেছে চীনের কাছে থেকে। মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ওই হুমকির খবর প্রকাশিত হয়েছে।

hongkon

হংকংয়ের অধিক রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জোরালোভাবে বিরোধিতা করে আসছে চীন। রোববারের নির্বাচনে হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারাভিযান চালিয়েছেন এমন নেতাদের উল্লেখ করে চীনের হংকং ও ম্যাকাও বিষয়ক অফিস এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

রোববার দেশটির ৭০ সদস্যবিশিষ্ট আইনসভা নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী ৩০ সদস্য বিজয়ী হয়েছেন। গত নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী ২৭ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। এর ফলে দেশটির সংবিধানে পরিবর্তন আনতে ভেটো দিতে পারবে গণতন্ত্রপন্থী বিজয়ীরা। বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এডিটর মাইকেল ব্রিস্টো বলেন, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে গণভোটের প্রস্তাব দিতে পারেন আম্ব্রেলা আন্দোলনের নেতা ল।

আম্ব্রেলা আন্দোলনের ওই নেতা বলেছেন, কঠিন লড়াই মাত্র শুরু হয়েছে এবং কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জণ্য আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে।

এসআইএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।